জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাতে সক্ষম। হোকাইদোর পশ্চিমে প্রায় ২১০ কিলোমিটার দূরে এই ক্ষেপণাস্ত্র পতিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র এই উৎক্ষেপণের নিন্দা জানিয়েছে। আর উত্তরের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই এতদ অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বাড়লে ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন। একই দিন একটি স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে দেশটি।
রবিবার কম্বোডিয়াতে দক্ষিণ কোরীয় প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়েওল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো। ওই বৈঠকে দেশ তিনটি নিজেদের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক বাড়াতে সম্মত হয়েছিল।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের নারী মুখপাত্র আদ্রিয়েন ওয়াটসন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে বাইডেনকে অবহিত করা হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি নিয়ে অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করবে।
গত দুই মাসে অর্ধশতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এগুলোর বেশিরভাগ স্বল্প পাল্লার। দেশটির পক্ষ থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বিরল এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি প্রত্যক্ষ হুমকি। কারণ এসব ক্ষেপণাস্ত্র এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের যে কোনও স্থানে পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক প্রধান বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ হয় স্থানীয় সময় ১০টা ১৫ মিনিটে। (জিএমটি সময় ২টা ১৫ মিনিট)। এটি পিয়ংইয়ংয়ের কাছ থেকে ছোড়া হয়।
দক্ষিণের সেনাবাহিনী আরও জানায়, এটি ৬ হাজার ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় ওঠে মাখ ২২ গতিতে ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দেয়।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছার মতো দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রের। আমাদের হিসাবে ক্ষেপণাস্ত্রটি ১৫ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম। যার অর্থ তা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে পারবে। আমরা পিয়ংইয়ংকে বলেছি এমন পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।