ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে যে কোনও সামরিক অনুপ্রবেশের জন্য রাশিয়াকে চরম মূল্য দিতে হবে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাজ্য তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তিনি বলেন, ‘আমরা শত্রুতামূলক কুশীলবদের বিরুদ্ধে আমাদের বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছি।’
হাউস অব কমন্সে দেওয়া ভাষণে লিজ ট্রাস বলেন, রাশিয়া তার গণতান্ত্রিক প্রতিবেশীকে ধ্বংস করার জন্য যে প্রচারণা চালাচ্ছে যুক্তরাজ্য তা মেনে নেবে না। তার ভাষায়, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার যে কোনও সামরিক অনুপ্রবেশ হবে বিশাল কৌশলগত ভুল এবং এর জন্য দেশটিকে চরম মূল্য দিতে হবে।’
তিনি বলেন, রাশিয়া তার আক্রমণাত্মক অবস্থানকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ইউক্রেনকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরছে। কিন্তু তাদের এমন দাবি মিথ্যা। তারা ন্যাটোর বিরুদ্ধেও উসকানির মিথ্যা অভিযোগ করছে। অথচ এটি সব সময়ই একটি প্রতিরক্ষামূলক জোট।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া আগ্রাসী ভূমিকা পালন করছে। তারা ইউক্রেন সীমান্তে এবং অবৈধভাবে দখলকৃত ক্রিমিয়ায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে।
এদিকে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের আশঙ্কায় মার্কিন নৌবাহিনীর বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজগুলোকে মধ্যপ্রাচ্যের বদলে ভূমধ্যসাগরে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম এপি-কে জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের মার্কিন মিত্র ও সহযোগীদের আশ্বস্ত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে সেনা সমাবেশ বাড়াতে শুরু করে রাশিয়া। সর্বোচ্চ ১০ হাজার পর্যন্ত সেনা সমাবেশ ঘটায় মস্কো। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয় যে, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। তবে এমন প্রস্তুতির খবর অস্বীকার করেছে মস্কো।