ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনার মধ্যেই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছে রাশিয়া। বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে মিলিত হন উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর সম্পর্কে উদ্বেগ-উত্তেজনা নতুন কিছু নয়। তবে গত কয়েক বছরে বিশেষ করে ইউক্রেন ইস্যুতে উভয় পক্ষের বিরোধ বেড়েছে।
বুধবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদর দফতরে শুরু হওয়া বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ। এতে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা তিন ঘণ্টার মতো সময় নিয়ে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের ৩০ জন রাষ্ট্রদূত অংশ নেওয়ার কথা জানা গেছে। আর রাশিয়ার প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো এবং উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এর আগে সোমবার জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাত ঘণ্টার দীর্ঘ বৈঠকে রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেন দখলের কোনও লক্ষ্য তাদের নেই।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সম্প্রতি লাখখানেক সেনা মোতায়েন করে। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিতে পারে; পশ্চিমা দেশগুলোতে এমন শঙ্কা তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে মস্কোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ইউক্রেন দখলের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চল দখল করে রাশিয়া। তখনও ইউক্রেন সীমান্তে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছিল মস্কো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া না দেখানোয় সেই সময় রাশিয়ার পক্ষে ক্রিমিয়ার দখল নেওয়া সম্ভব হয়েছিল বলে মনে করেন পেন্টাগনের সেই সময়কার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জিম টাউনসেন্ড। তার মতে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ওবামা প্রশাসনের আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত ছিল।