X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউক্রেনে যুদ্ধ: রুশবিরোধী জোটে কেন নেই উন্নয়নশীল বিশ্ব

বিদেশ ডেস্ক
১৫ এপ্রিল ২০২২, ২৩:০০আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৮:১৫

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করার কারণে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে বৈশ্বিক জোট গঠনের চেষ্টা করছেন পশ্চিমা নেতারা। তবে এই উদ্যোগ ধাক্কা খাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে গণতান্ত্রিক ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

পশ্চিমাদের উদ্যোগে সাড়া দিতে উন্নয়নশীল বিশ্বের এই প্রতিরোধ নিজেদের অর্থনৈত্কি স্বার্থ থেকেই আসছে। এর ফলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চাপ খুব বেশি বাড়ছে না এবং শীতল যুদ্ধের সময়কার বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্তি সামনে আসছে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে অনেক দেশ নিজেদের দূরে রাখতে অবস্থান নিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির ইউরোপীয় ও অন্য মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ২৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে শত কোটি ডলারের সহযোগিতা দিয়েছে ইউক্রেনকে। এই ঐক্যবদ্ধতাকে পশ্চিমা জোটের পতাকা পুনরায় ঊর্ধ্বে তুলে ধরা হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।

এরপরও ইউক্রেনের বুচাতে হত্যাযজ্ঞের পর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ২৪টি দেশ জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ থেকে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিতের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল ৫৮টি রাষ্ট্র– ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নেতারা পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলেছেন। কিন্তু উন্নয়নশীল বিশ্বের মেক্সিকোর আন্দ্রেজ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর থেকে শুরু করে ভারতের নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ার সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

ব্রাসেলসে বৈঠকে ন্যাটোর জোটের নেতারা

রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেগুলো মূলত পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যভুক্ত দেশ এবং অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলোর পক্ষ থেকে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক জন ফিলেই বলেন, এই ঘটনার একটি পরিণতি হলো যে বাইডেন প্রশাসনকে তাদের সত্যিকার মিত্রদের স্বীকৃতি দিতে হবে এবং তারা হলেন ইউরোপীয় ও উত্তর এশীয়। আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার জন্য এটি একটি ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে ভারত। তারা বলতে পারতো, দেখুন আমাদের ভিন্নতা রয়েছে… কিন্তু আমরা স্পষ্ট গণতান্ত্রিক, সার্বভৌমত্বভিত্তিক, আন্তর্জাতিক বিধিসম্মত নীতি মেনে চলি।

এই বিভক্তি রাশিয়াকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব খর্ব করতে সহযোগিতা করছে এবং মস্কোকে বলার সুযোগ দিচ্ছে যে বিশ্বজুড়ে আমাদের পক্ষেও বিভিন্ন দেশের সমর্থন রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব থাকা সৌদি আরব ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা জানানো থেকে বিরত থেকেছে। তেলের মূল্যবৃদ্ধির সময়ে উৎপাদন বাড়াতে মার্কিন আহ্বানে সম্মতি দেয়নি রিয়াদ।

ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপে পদার্পণের আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রাজিল, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার কূটনীতিকরা হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ করেছেন এবং পরে তারা বৈঠক করেছেন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়ে। এই দেশগুলো ‘ব্রিকস’ অর্থনীতির দেশ বলে পরিচিত। ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত হয়েছে। ল্যাভরভ ওই দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন, ‘নজিরবিহীন অর্থনৈতিক যুদ্ধের শিকার রাশিয়া’। কোনও রাষ্ট্রদূত পুতিনের আক্রমণের সমালোচনা করেননি।

জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থাকার একদিন পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেছেন, ইউক্রেন সংকট আমাদের সমস্যা নয়, এমন অবস্থান আমাদের নেই। আমাদের অবস্থান আমরা শান্তি চাই। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি জাতীয় স্বার্থের ভিত্তিতে নির্মিত হয় এবং আমরা আমাদের চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও স্বার্থ দ্বারা চালিত হই।

রাশিয়ার পুরনো মিত্র ভারত মস্কোর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় না এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী  চীনের কাছাকাছি যাক তা-ও চায় না।

ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এই মাসে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা ভারত সফর করেছেন। একই সময়ে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাশিয়ার তেলের মূল্য ডলারের বদলে রুবলের পরিশোধের প্রস্তাব নিয়ে বৈঠক করেছে নয়াদিল্লি। ব্যাপক ছাড়ে সম্প্রতি কোটি ব্যারেল তেল কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন, আরও বেশি তেল কেনা হতে পারে।

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রায়মোন্ডো বলেন, এখন সময় ইতিহাসের সঠিক পক্ষে দাঁড়ানোর। প্রেসিডেন্ট পুতিনের যুদ্ধে তহবিল, রসদ ও সহযোগিতা করার সময় নয়।

বিশ্ব শৃঙ্খলা

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর হয়ে কথা বলার অবস্থানে নিজেদের নিয়ে গেছে চীন। আফ্রিকা ও এশীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি জটিল আন্তর্জাতিক প্রশ্ন নিয়ে নৈতিক অবস্থান গ্রহণে চাপ প্রয়োগের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে অস্থিরতার কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির পশ্চিমা মিত্রদের মোকাবিলায় রাশিয়াকে নিজেদের মিত্র হিসেবে বিবেচনা করে চীন। দুই প্রতিবেশী দেশ মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্ব ব্যবস্থা গুঁড়িয়ে দিতে চায়। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে মস্কো ও বেইজিং একে অপরকে অনুমতি দেয়।

গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের প্রতি মনোভাবে পরিবর্তন এসেছে উন্নয়নশীল বিশ্বের। বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কূটনৈতিক সম্পর্ক, সামরিক সম্পর্ক ও অস্ত্র বিক্রি করে মস্কো শত কোটি ডলার ব্যয় করেছে। ভেনেজুয়েলা থেকে ভারত এবং আফ্রিকায় অস্ত্র বিক্রি ও গম রফতানি করেছে রাশিয়া। নিজেদের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের আওতায় কয়েক ডজন দেশে বাঁধ, সড়ক, সেতু, পাইপলাইন ও রেললাইন স্থাপন করে চীন নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তি সম্প্রসারিত করছে।

২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বে ইরাক দখল অভিযান এবং পরে আবুগারিব কারাগারে ইরাকি বন্দিদের নির্যাতনের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। যে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ তারা তুলছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

ইয়েল ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক ওড আর্নে ওয়েস্টাড বলেন, এটি ২০০০ দশকের ইতিহাস এবং সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশ।

বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তাদের আশঙ্কা, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে নিজেদের চাহিদার ৮০ শতাংশ গম আমদানি করে সুদান। আমদানি ব্যাহত হওয়ার কারণে দেশটিতে পাউরুটির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রুশ ও ইউক্রেনীয় শস্যের ওপর নির্ভরতা তুরস্ক থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। কৃষি উৎপাদকরা রাশিয়ার সারের ওপর নির্ভরশীল।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মিত্র মিসর জাতিসংঘে রাশিয়ার আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছে এবং পরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ পাচ্ছে। ওয়াশিংটন হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক দশক দীর্ঘ নিরাপত্তা সম্পর্ক কমিয়ে আনতে পারে এবং অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে মস্কোর ওপর নির্ভরশীল হতে তারা বাধ্য হতে পারে।

মার্চে পাকিস্তান সফর করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কয়েকটি দেশের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি মূলত চীনকে সন্তুষ্ট রাখার প্রয়াস। ব্রাজিলীয় লৌহ আকরিক ও আর্জেন্টিনার সয়াবিনের মতো পণ্যের চাহিদা চীনে বেড়েছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যের দেশ হয়েছে চীন। গত বছর আফ্রিকায় চীনের বাণিজ্য ৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৪ বিলিয়ন ডলারে। যা মহাদেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যের পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি।

চীনের সঙ্গে ২ হাজার ২০০ মাইল দীর্ঘ সীমান্ত রক্ষায় মস্কোর সহযোগিতা চায় ভারত। এই সীমান্তে অতীতে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন চীন ও ভারতের সেনারা। ভারতের অস্ত্র আমদানির অর্ধেক আসে রাশিয়া থেকে। এছাড়া পুরনো অস্ত্র ও সরঞ্জামের যন্ত্রাংশের বেশিরভাগও রাশিয়া থেকে কেনে নয়া দিল্লি।

গত বছর ডিসেম্বরে ভারতীয় কর্মকর্তারা রাশিয়ার কাছ থেকে রুশ এস-৪০০ ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার জন্য চুক্তি করেছে। দুই দেশ আরেকটি চুক্তি করেছে যাতে রুশ নকশার ৬ লাখ একে-২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল ভারতে নির্মাণ করা হবে।

মধ্যপন্থা

কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধকে ইউরোপের সমস্যা হিসেবে মনে করে। অপর কয়েকটি দেশ চায় না পরাশক্তির লড়াইয়ে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহৃত হতে। শীতল যুদ্ধের সময় ১২০টি দেশ মার্কিন-সোভিয়েত লড়াই থেকে নিজেদের দূরে রাখতে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিতে দায়িত্ব পালন করা ব্রাজিলের সাবেক রাষ্ট্রদূত রুবেন্স রিকুপেরো বলেন, এই পরিস্থিতি স্থায়ী হয়ে যেতে পারে বলে এক ধরনের উদ্বেগ আছে। যে স্থায়ী বিভাজনে একপক্ষে পশ্চিমা, যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা এবং অপর পক্ষে চীন ও রাশিয়া থাকবে।

তবে কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ রাশিয়ার নিন্দা জানানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে কিন্তু নিষেধাজ্ঞা জারিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

লাতিন আমেরিকা বিষয়ক নির্দলীয় জার্নাল আমেরিকাস কোয়ার্টারলির সম্পাদক ব্রায়ান উইন্টার মনে করেন, জোটনিরপেক্ষ প্রবণতার মূলে রয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে লড়াইয়ে পক্ষ নেওয়া উপকারী না হওয়ার মনোভাব।

তিনি বলেন, বড় শক্তিগুলোর সংঘাতের নতুন যুগে যদি আমরা প্রবেশ করি তাহলে লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ এই অবস্থান নেবে। এই সরকারগুলো শীতল যুদ্ধে সময় তারা পরিণতি ভোগ করেছে তা এখনও মনে রেখেছে। এই অঞ্চলকে দাবার বোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

২০১৯ সালে উগান্ডার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট

গত মাসে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর প্রস্তাবে আফ্রিকার প্রায় অর্ধেক দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এসব দেশের ক্ষমতাসীন অনেক সরকার উপনিবেশ বা শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের শাসন থেকে জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে মস্কোর সমর্থন পেয়েছে। ‌‌১৯৬০ থেকে ১৯৮০ দশক পর্যন্ত কীভাবে সোভিয়েত অস্ত্র, অর্থ ও উপদেষ্টারা স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখেছে তা মনে রেখেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে, অ্যাঙ্গোলা ও মোজাম্বিকের নেতারা।

সমর্থন পেতে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিনিয়র কূটনীতিকদের উগান্ডা, দক্ষিণ সুদান ও ইথিওপিয়া পাঠিয়েছে রাশিয়া। জাতিসংঘে রাশিয়াকে সমর্থন অথবা অন্তত ভোটদানে বিরত থাকার বিনিময়ে এই প্রতিনিধি দল বিনিয়োগ ও অবকাঠামো সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

উগান্ডার দীর্ঘদিনের নেতা এবং যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার ইয়োরি মুসেভেনি জানান, পূর্ব ইউরোপের মধ্যাকর্ষণের কেন্দ্র হিসেবে দেখা উচিত রাশিয়াকে।

তার ছেলে লেফট্যানেন্ট জেনারেল মুহুজি কাইনারগাবা আরও এগিয়ে গিয়ে বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানবজাতি (অশ্বেতাঙ্গ) ইউক্রেনে রাশিয়ার অবস্থানকে সমর্থন করে।

সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

/এএ/এমওএফ/
টাইমলাইন: ইউক্রেন সংকট
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:৩০
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:০২
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৪
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০১
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:০৪
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩:০১
সম্পর্কিত
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নিরাপত্তা জোরদার করছে কিয়েভ
সর্বশেষ খবর
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
জলপাইগুড়িতে বিজেপির ইস্যু বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া করিডর
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
নদীতে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর ডাকাতের হামলা
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
ক্রিমিয়া উপকূলে রুশ সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
হোয়াইট হাউজের বিড়াল নিয়ে বই প্রকাশ করবেন মার্কিন ফার্স্টলেডি
সর্বাধিক পঠিত
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!