X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

২০১৩ সালের দাঙ্গার দায়ে ভারতে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায়

বিদেশ ডেস্ক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২৩:১৯আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২৩:২৯
image

দুই হিন্দু ব্যক্তিকে হত্যার মাধ্যমে দাঙ্গার জন্ম দেওয়া সাত ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। অভিযুক্তরা সবাই মুসলমান। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস জানিয়েছে, এর বিপরীত দিকে, হিন্দুদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা ও অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। ২০১৩ সালের দাঙ্গার দায়ে ভারতে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায়
আদালতের রায়ে বলা হয়, ২০১৩ সালে উত্তর প্রদেশে দুই হিন্দু ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তরা। ওই ঘটনার সূত্র ধরে দাঙ্গা শুরু হয় মুজাফফরনগরে, যা দিল্লি থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সেখান থেকে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে ভারতের অন্যান্য অংশে। দাঙ্গায় প্রাণ হারান ৬৫ জন। বাস্তুচ্যুত হন কয়েক হাজার মানুষ। ২০১৩ সালের ওই দাঙ্গার অল্প কিছুদিন পরেই নির্ধারিত ছিল নির্বাচন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে ‘ভারতীয় জনতা পার্টি’ (বিজেপি)। প্রধানমন্ত্রী হন দলটির নেতা নরেন্দ্র মোদি।
মুজাফফরনগরের একটি আদালত অভিযুক্ত সাত ব্যক্তিকে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে কাওয়াল গ্রামে দুই হিন্দু ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। রয়টার্স লিখেছে, দাঙ্গায় প্রাণ গিয়েছিল যাদের তাদের বেশিরভাগেরই মুসলমান। যে ১২ হাজার ব্যক্তি বাস্তুচ্যুত হয়েছিল তাদের সিংহভাগও মুসলমান।
এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতা ও প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার দাঙ্গায় যুক্ত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা ৩৮টি মামলা প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছে। এসবের মধ্যে হত্যা, ডাকাতি ছাড়াও বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ ছিল।
উত্তর প্রদেশ সরকার গত জানুয়ারি মাসে মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছিল। আর মামলা প্রত্যাহারের নোট পাঠানো হয়েছিল ২৯ জানুয়ারি। বিজেপির সংসদ সদস্য সঞ্জীব বলিয়ান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলেন।

/এএমএ/
সম্পর্কিত
জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থেকেও হিন্দুত্ববাদে ভরসা মোদির?
লোকসভা নির্বাচনবিজেপি ও তৃণমূলের মাথাব্যথা এখন কম ভোটার উপস্থিতি
লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের ভোটে হেভিওয়েট প্রার্থী যারা
সর্বশেষ খবর
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
শিবনারায়ণের চোখে আলো দেখছেন মশিউর ও কালাম
শিবনারায়ণের চোখে আলো দেখছেন মশিউর ও কালাম
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস