ভারতের উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের খাইর পুলিশ স্টেশনে এক নারীর গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৪০ শতাংশ দগ্ধ হওয়া হেমলতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হেমলতা যখন পুলিশ স্টেশনে ঢুকেন তখন তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেওয়া হয়। পরে তার পাশে থাকা এক ব্যক্তি তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি হেমলতার ২২ বছর বয়সী ছেলে গৌরব।
এতে আরও দেখা গেছে, একজন পুলিশ সদস্য হেমলতার হাত থেকে লাইটারটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেটি মাটিতে পড়ে যায়। তখন একহাতে মোবাইল ধরে ভিডিও ধারণ করতে থাকা গৌরব তার মাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তেই একটি বড় আগুনের গোলা সৃষ্টি হয় এবং সবাই পেছনে সরে যান। গৌরব মাটিতে পড়ে গেলেও পরে উঠে দাঁড়ায় এবং ঘটনাটি রেকর্ড করতে থাকে।
পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট সঞ্জীব সুমান বলেন, পুলিশ স্টেশনে মায়ের গায়ে আগুন লাগিয়েছে গৌরব। একটি জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ ছিল। হেমলতা এ নিয়ে একটি এফআইআর করেছিলেন। আজ উভয় পক্ষ সমাধান খুঁজতে পুলিশ স্টেশনে এসেছিল। তবে সমঝোতা না হওয়ায় হেমলতা বাইরে যান এবং ফিরে এলে তার ছেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সঞ্জীব সুমান আরও জানান, পরিবারকে ভিডিওটি দেখানো হয়েছে। পুলিশ হস্তক্ষেপ করার আগেই ছেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন নেভাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরাও দগ্ধ হন। হেমলতাকে দ্রুতই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।