অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮০ শতাংশ মানুষই ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনি। তারা বন্দুকের গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন। এই তথ্য জানিয়েছেন গাজা শহরের একটি হাসপাতালের প্রধান। শনিবার (২ মার্চ) মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এই খবর জানিয়েছে।
গাজায় ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর বৃহস্পতিবার হামলা করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের মতে, এ হামলায় খাবারের জন্য অপেক্ষায় থাকা অন্তত ১১৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও ৭৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
আল-আওদা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ সালহা এপিকে বলেছেন, ১৭৬ জন আহতের মধ্যে ১৪২ জনেরই গুলি লেগেছে। এর মধ্যে, বাকি ৩৪ জন পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন।
তবে নিহতদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি তিনি। কেননা, মরদেহগুলো গণনার জন্য সরকার পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ হুসাম আবু সাফিয়া বলেছেন, আহতদের বেশির ভাগেরই শরীরের উপরের অংশে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতদের অনেকেরই মাথায়, ঘাড়ে বা বুকে গুলির আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, একটি ত্রাণবাহী কনভয় থেকে পণ্যগুলো নেওয়ার জন্য একটি বিশাল জনতা দৌড়ে এলে তাদের ওপর গুলি চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
তবে, ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, গাজার মরিয়া ফিলিস্তিনিরা সাহায্য বহনকারী ট্রাকগুলোর সামনে ভিড় জমিয়েছিল। এসময় ভিড়ের ঢেউয়ে অনেকেই পদদলিত হয়ে মারা গেছে। ভিড়টি ইসরায়েল বাহিনীর দিকে হুমকিমূলকভাবে এগিয়ে এলে তখন সতর্কতামূলক গুলি ছুড়ে সেনারা। তবে ইসরায়েলি বাহিনী ত্রাণ বহরে হামলা চালায়নি বলে দাবি করেছেন তারা।