মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আবারও মিসর ও ইসরায়েল সফর করবেন। গাজায় চলমান সংঘাতে একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে ইসরায়েল ও হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে সোমবার (১০ জুন) তিনি এই সফর করবেন। তার সফরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো লেবাননে যুদ্ধের সম্প্রসারণ ঠেকানো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা এ খবর জানিয়েছে।
গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত শুরু হওয়ার পর একাধিকবার ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুদ্ধ শুরুর পর এই অঞ্চলে এটি তার অষ্টম সফর। চলতি সপ্তাহে জর্ডান ও কাতার সফরের পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ এই কূটনীতিকের।
সোমবার কায়রোতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্লিঙ্কেন। এরপর তিনি ইসরায়েল সফর করবেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩১ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন পরিকল্পনা প্রস্তাবের পর এই সফরে আসছেন ব্লিঙ্কেন। বাইডেনের পরিকল্পনায় তিন ধাপের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গাজায় স্থায়ীভাবে সংঘাত বন্ধের লক্ষ্য, ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন।
ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বেনি গান্তজের পদত্যাগের ঘোষণার পর ইসরায়েল সফর করবেন ব্লিঙ্কেন। গান্তজ রবিবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তার পদত্যাগে নেতানিয়াহুর জোট সরকারের জন্য কোনও হুমকি নয়। তবে এতে করে নেতানিয়াহুকে আরও বেশি কট্টরপন্থিদের ওপর নির্ভর করতে হবে। অতীতের ইসরায়েল সফরে গান্তজের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ব্লিঙ্কেন।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছিলেন, সফরে অংশীদারদের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি একটি সমঝোতায় পৌঁছানো এবং সব জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে আলোচনা করবেন।