ইসরায়েলের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। রবিবার টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি জানান, এই হামলা ইরানের সঙ্গে সমন্বয় করে চালানো হয়েছে। এই প্রথম কোনও ইরানঘনিষ্ঠ গোষ্ঠী প্রকাশ্যে তেহরানের সঙ্গে যৌথ সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিলো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
হুথি মুখপাত্র সারি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় তারা ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।
তিনি আরও বলেন, দমন-পীড়নের শিকার ফিলিস্তিনি ও ইরানি জনগণের বিজয়ের জন্য আমরা এই হামলা চালিয়েছি। ইরানি সেনাবাহিনীর অভিযানের সঙ্গে এই হামলার সমন্বয় করা হয়।
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান ও ইয়েমেন থেকে একযোগে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের জেরে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে।
শুক্রবার ইরানকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালানোর পর থেকে উভয় দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, শুক্রবার ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র পশ্চিম তীরের হেবরনে এসে পড়ে। যদিও ওই হামলার দায় তখন হুথিরা স্বীকার করেনি।
গাজায় চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে গত বছর ৭ অক্টোবরের পর থেকে হুথিরা নিয়মিত ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। এসব হামলার বেশিরভাগই ইসরায়েল প্রতিহত করেছে।
এদিকে হুথিদের হামলার জবাবে একাধিক পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। চলতি বছর হুথিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও বিমান হামলা শুরু করলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে পরে তা বন্ধ রাখা হয়। হুথিরা যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা না চালানোর অঙ্গীকার করার পরই তা বন্ধ হয়।