সাংবিধানিক নিয়ম রক্ষা করতে বুধবারই (২৫ মে) মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম কলকাতা টোনেন্টিফোরের খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আগের সরকারের মন্ত্রিসভা ভেঙে দিতে হয়৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ইস্তফা দেন৷ সেই নিয়ম রক্ষা করতেই বুধবার মমতা ইস্তফা দিচ্ছেন।
কলকাতা টোয়েন্টিফোরের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নতুন মন্ত্রিসভা শপথের আগে সাময়িক দায়িত্বভার দেওয়া হতে পারে তাঁকে৷ তৃণমূল ভবন সূত্রের বরাত দিয়ে কলকাতা টোয়েন্টিফোর জানায়, বুধবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য ইস্তফা দেবেন৷
কলকাতা টোয়েন্টিফোর জানিয়েছে, বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ ইস্তফা-পত্র নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি৷ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে ২০১১ সালের মন্ত্রিসভা ভেঙে নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেবেন৷
আগামি শুক্রবার ২৭ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নেবে তৃণমূল সরকার৷ চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি৷ এবারই প্রথা ভেঙে রাজভবনের পরিবর্তে রেড রোডে শপথ নেবে নতুন মন্ত্রিসভা৷ রাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য বন্ধ থাকবে রেড রোড। অনুষ্ঠান শেষের পরেও মঞ্চ খোলার জন্য ২৯ তারিখ ভোর ছটা পর্যন্ত রেড রোডে গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যানজট এড়াতে বিকল্প রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে যান-বাহন।
দ্বিতীয়বারের মতো মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বহু ভিভিআইপি, দেশি-বিদেশি অভ্যাগত ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে শপথ নেবেন তিনি ও অন্যান্য বিধায়করা। এদিনেই শপথ নেবেন রাজ্য মন্ত্রিসভার ৪৪ জন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ২০ হাজার সাধারণ মানুষের বসার ব্যবস্থা থাকছে। থাকবেন ১ হাজার ভিভিআইপি এবং ৫ হাজার ভিআইপি। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদী ও সোনিয়া গান্ধীর কাছে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও যাচ্ছে আমন্ত্রণপত্র। সূত্র: কলকাতাটোয়েন্টিফোর
/বিএ/