শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর নিউ জিল্যান্ডে সুনামি আঘাত হেনেছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়-ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ জানা যায়নি।
নিউ জিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের উত্তর-পূর্বে শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৮। তবে প্রথমে ইউএসজিএস জানিয়েছিল, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭.৪। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামি সতর্ক বার্তা জারি করা হয়।
ভূমধ্যসাগরীয় সুনামি সর্তকতা কেন্দ্র জানিয়েছে, নিউ জিল্যান্ডের সাউথ আইল্যান্ডের কাইকৌরা উপকূলে প্রায় সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার ঢেউ আঘাত হেনেছে। আগামী কয়েক ঘণ্টা সুনামির ঘটনা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা করছেন তারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছাকাছি উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বেসামরিক প্রতিরক্ষা ও জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় টুইটার বার্তায় জানিয়েছে, ‘সুনামির প্রথম ঢেউটি তেমন বড় নয়। তবে এই সুনামি কয়েক ঘণ্টা ধরে অব্যাহত থাকতে পারে।’
সর্তকতা জারির পর এটিই সুনামির প্রথম আঘাত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভূমিকম্পটির পর অন্তত ৬টি অল্পমাত্রার আফটার-শকে কেঁপে উঠে আশেপাশের অঞ্চল।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ক্রাইস্টচার্চ থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল মাটির ২৩ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রবিবার রাত ১২টার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের ৪৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট শহর অ্যাম্বারলি। সেখানে রয়েছেন দুই হাজার অধিবাসী। আর উপকেন্দ্রের ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাইয়াপোই শহরে রয়েছেন ১০ হাজার অধিবাসী। ওয়েলিংটন এবং শেভিয়ট শহর থেকেও ভূকম্পনটি অনুভূত হয়।
এখনও ক্ষয়-ক্ষতির নিশ্চিত তথ্য পাওয়া না গেলেও ভূমিকম্পের ধরণ দেখে এতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ক্রাইস্টচার্চে ২০১১ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৮৫ জন নিহত হয়। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া শহরটির অবকাঠামো। যা এখনও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
নিউ জিল্যান্ড দেশটি তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ার’-এর উপর অবস্থিত। এই ত্রুটি রেখায় ঘনঘন ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়। এই রিংয়ের পরিধি পুরো প্রশান্ত মহাসাগর জুড়ে।
সূত্র: ইউএসজিএস, বিবিসি।
/এসএ/