থাই সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, গুহার ভেতরে আটকে পড়া শিশুদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধারের পর তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আগে থেকেই অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জনিয়েছে, দুটি অ্যাম্বুলেন্সকে ঘটনাস্থল থেকে রওনা হতে দেখা গেছে। ২৩ জুন থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় বিকালে ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১২ ফুটবলার ও তাদের ২৫ বছর বয়সী কোচ থাইল্যান্ডের উত্তর অংশের প্রদেশ চিয়াং রাইয়ের ‘থাম লুয়াং নায় নন’ গুহায় প্রবেশ করেন। পরে বৃষ্টির পানিতে গুহা থেকে বের হওয়ার পথ ভেসে গেলে তারা নিরাপদ স্থানের সন্ধানে গুহার আরও ভেতরের দিকে চলে যাতে বাধ্য হয়। ৯ দিন পর তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে থাই কর্তৃপক্ষ।
A second ambulance has just come out pic.twitter.com/RE25TVNWMs
— Helier Cheung (@HelierCheung) July 8, 2018
উদ্ধার অভিযান নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের লাইভ কাভারেজ পড়ুন: থাই গুহায় উদ্ধার অভিযান
শিশুদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের ফুটবল কোচ অনুশীলনের পর কখনও তাদেরকে সাঁতারের জন্য নিয়ে যেতেন, আবার কখনও ভ্রমণে। এমনই একদিন ছিল গত ২৩ জুন, যেদিন তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ কেউ বলেছেন, কোচের উচিত হয়নি ১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই শিশুদের নিয়ে থাম লুয়াং নাং নন গুহায় ঢোকা। কারণ বর্ষাকালে যে গুহা পানি পূর্ণ হয়ে যায় সে বিষয়ে সতর্কতা জানিয়ে গুহার মুখে সাইনবোর্ড টাঙানো আছে। তবে শিশুদের পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে কোচকে অপরাধবোধে ভুগতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা মনে করেন না, এতে কোচের দোষ আছে।