মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়ে গেছে। আর ঘূর্ণিঝড় আইডায় আক্রান্ত অপর দুই দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭০০। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মালাবিতে তুলনামূলকভাবে কম প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত ১৪ মার্চ ১৭০ কিলোমিটার বেগে মোজাম্বিকের ওপর আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় আইডা। এরপর জিম্বাবুয়ে ও মালাবিতে আঘাত করে ঝড়টি। এই ঘূর্ণিঝড়ে মোজাম্বিকের বেইরা শহরের ৯০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে হওয়া বন্যায় যেমন ধসে পড়েছেভবন তেমন বাঁধ। এতে বেইরা কার্যত পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমুদ্রে সমতল থেকে অবস্থান নিচে হওয়ায় বেইরা এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকা।
ঘূর্ণিঝড় আইডার তাণ্ডবের পর সেখানকার বাড়ির ছাদ ও গাছের ওপরে আটকে পড়া শত শত মানুষকে উদ্ধারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার কাজ চালাতে হচ্ছে তাদের। গত বুধবার (২০ মার্চ) উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, বন্যার কারণে গাছের ওপর আটকে পড়া নারীরা তাদের শিশু সন্তানদেরকে বাঁচাতে উদ্ধারকারী নৌকার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন। প্রায় মাথা সমান পানি থেকেও মানুষজনকে টেনে তোলা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার তৎপরতা।
মোজাম্বিকের ভূমি ও পরিবেশমন্ত্রী সেলসো কোরেইয়া জানিয়েছেন, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আইডার কারণে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৭ জনে। রয়টার্স লিখেছে, এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়েতে মৃতের সংখ্যা ২৫৯ জন হওয়ার কথা জানা গেছে। আর মালাবিতে প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে কম; ৫৬ জন। বন্যার পানি না কমা পর্যন্ত বেইরা শহরে আইডার কারণে ঠিক কী মাত্রার ক্ষতি হয়েছে তা পুরোপুরিভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে না। ত্রাণ সরবরাহকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বন্যার পানি এখনও বাড়ছে।