স্ত্রী-সন্তান হত্যায় অভিযুক্ত ব্রিটিশ বাংলাদেশি মোহাম্মদ আব্দুশ শাকুরের (৪৫) বিচারকাজ শুরু হবে অক্টোবরে। ভারতে পালিয়ে থাকা শাকুরকে ফিরিয়ে আনার পর বুধবার লন্ডনের আদালতে নেওয়া হলে বিচারক এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পৃথক তিন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসে পূর্ব লন্ডনের নেলসন স্ট্রিটের বাড়ি থেকে শাকুরের স্ত্রী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জুলি বেগম (২৬), ছয় বছরের শিশুকন্যা তানহা খানম ও পাঁচ বছরের শিশুকন্যা আনিকা খানমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার কয়েক বছর পর ভারতে সন্ধান মেলে জুলির স্বামী শাকুরের। বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০১২ সালে ভারতীয় পুলিশ অভিবাসী আইনে তাকে গ্রেফতার করে। ধারণা করা হয়, স্ত্রী ও কন্যাদের খুন করেই ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল শাকুর। সেখান থেকে ফেরত এনে সোমবার তাকে বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করা হয়।
যুক্তরাজ্য সরকার শাকুরকে ফেরাতে ২০১৩ সালে তৎপরতা শুরু করে। ৫ বছরের দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় এবার তাকে ফেরত পেতে সমর্থ হয় তারা। গত শনিবার শাকুর ভারতের এক ফ্লাইটে হিথ্রো বিমানবন্দরে নামে। বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
লন্ডন মেট্রো পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০০৬ সালে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে হত্যার ঘটনায় শাকুরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। হত্যার তিনটি পৃথক অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
২০০৬ সালে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে বোন জুলি বেগম আর ভগ্নিপতির কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো। নয়দিন ধরে কোনও খোঁজ না পেয়ে জুলির বোন খবর দিলে নিজ বাড়ি থেকে জুলি ও তার দুই শিশুকন্যার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার (৯ এপ্রিল) শাকুরকে বার্কিংসাইড ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজির করে তার বিরুদ্ধে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তানকে হত্যার দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।
জুলি বেগম যখন খুন হন, তখন নিউহ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলর ছিলেন রহিমা রহমান। তিনি মঙ্গলবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মা ও দুই শিশুকন্যার মৃত্যুর সেই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক।