বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোর কংগ্রেসনাল ডেপুটি এদগার জামব্রানোকে আটক করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা সেবিন-এর সদস্যরা। বুধবার (৮ মে) নিজের গাড়ির ভেতরে বসা থাকা অবস্থাতেই আটক হন তিনি। একটি ট্রাকের সাহায্যে এদগারের গাড়িকে টানতে টানতে সেবিন সদরদফতরে নিয়ে যান গোয়েন্দারা। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এদগারকে মুক্তি না দিলে পরিণতি ভয়াবহ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।
নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে এ বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি। গত সপ্তাহে এক ভিডিও বার্তায় আকস্মিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন গুইদো। ভিডিওতে তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন সামরিক সদস্যকেও দেখা যায়। এই অভ্যুত্থানে সমর্থন ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। পরদিনই ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাতের দাবি করেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। তিনি বলেন,ভেনেজুয়েলা কখনোই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে নত হবে না।
বিরোধী নিয়ন্ত্রিত জাতীয় পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এদগার জামব্রানো। গুইদো হলেন এর প্রধান। মঙ্গলবার মাদুরোপন্থী গণপরিষদ এদগার জামব্রানোসহ আরও ছয়জন আইনপ্রণেতাকে ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি করতে তাদের কাছ থেকে সংসদীয় দায়মুক্তি প্রত্যাহারে সম্মত হয়। পরিষদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সায় দেয়নি বিরোধীরা। এর আগে ওই আইনপ্রণেতাদেরকে ষড়যন্ত্র, বিদ্রোহ ও বিশ্বাসঘাতকতার দায়ে অভিযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার একই অভিযোগে বিরোধী দলের আরও তিন আইনপ্রণেতাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে এদগার জামব্রানো টুইট করেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, সেবিন সদস্যরা কারাকাসের লা ফ্লোরিডাতে ডেমোক্র্যাটিক অ্যাকশন পার্টির সদর দফতরের বাইরে তার গাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে। টুইটার পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন ‘সেবিনের আচরণে আমরা অবাক হয়েছি। আমাদেরকে গাড়ি থেকে বের হতে না দিয়ে ট্রাকের সঙ্গে থাকা দড়ি দিয়ে গাড়িটিকে বেঁধে টেনে নিয়ে গেছে। জোর করে আমাদেরকে সেবিনের সদর দফতর হেলিচয়েডে স্থানান্তর করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ভেনেজুয়েলান দূতাবাস এদগার জামব্রানোকে আটকের ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছে। তারা বলছে, জামব্রানোকে ‘নির্বিচারে আটকের ঘটনাটি ‘অবৈধ ও অমার্জনীয়’।
আর টুইটারে গুইদো দাবি করেছেন, সরকার তার ভাইস প্রেসিডেন্টকে অপহরণ করেছে।