X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

চীনবিরোধী বিক্ষোভে হংকংয়ে থমথমে পরিস্থিতি

বিদেশ ডেস্ক
১৩ জুন ২০১৯, ০৯:২৩আপডেট : ১৩ জুন ২০১৯, ১৩:০৬

চীনবিরোধী বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় হংকংয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু সরকারি দফতর। চলমান বিক্ষোভের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে দফতরগুলোর সামনে অবস্থান নিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। মূলত চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত একটি বিলের বিপক্ষে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দু হংকংয়ের ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ। 



চীনবিরোধী বিক্ষোভে হংকংয়ে থমথমে পরিস্থিতি

হংকংয়ের বেইজিংপন্থী শাসকদের প্রস্তাবিত একটি বিলে সন্দেহভাজন অপরাধীকে চীন ও তাইওয়ানে ফেরত পাঠানোর পথ সুগম করা হয়েছে। তবে বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা হংকংয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। সেখান থেকেই বিক্ষোভে নেমেছে তারা। 
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও তারা অবস্থান নিতে শুরু করেন। কয়েকশ আন্দোলনকারী মুখোশ ও খাবার নিয়ে দেশটির আইনসভার সামনে ঘোরাঘুরি করতে থাকে। তবে এদিন নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছে হংকং। হেলমেট ও ঢাল নিয়ে সেখানে প্রস্তুত শত শত পুলিশ। পাশেই পুলিশ ভ্যান। এছাড়া ইউনিফর্মবিহীন পুলিশও রয়েছে। চেক করা হচ্ছে সকলের পরিচয়পত্রও।

এরআগে বুধবার দিনভর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আন্দোলনকারীদের ওপর রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। আন্দোলনকারীরাও প্লাস্টিকের বোতল ছুড়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে।

১৯৯৭ সালে চীনের কাছে ব্রিটেন হংকং পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে এমন সহিংসতা হয়নি। দেশটির হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত অন্তত ৭২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করলেও সরকার পিছু হটেনি। হংকংয়ের আইনি পরিষদ বিতর্কিত ওই অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত বিলটি নিয়ে দ্বিতীয় বৈঠক পিছিয়ে দিয়েছে। সেঈ বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

২০১৮ সালের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে এই বিলটি তৈরি করা হয়। তাইওয়ানে ছুটি কাটানোর সময় অন্তঃসত্ত্বা বান্ধবীকে হত্যার অভিযোগ ওঠে হংকংয়ের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে হংকংয়ের বন্দিবিনিময়ের কোনও চুক্তি না থাকায় সেই ব্যক্তিকে এখন তাইপেতে বিচারের জন্য পাঠানো যাচ্ছে না। কিন্তু এখন তাইওয়ানও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন সেই খুনের মামলার আসামিকে ফেরত নিতে চায় না তারা। কেননা, এটি এমন এক উদাহরণ তৈরি করবে, যা চীন ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে।

হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। ১৫০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার পর লিজ চুক্তির মেয়াদ শেষে ১৯৯৭ সালের ১ জুলাই অঞ্চলটি চীনের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছিল। হংকংয়ের জনসংখ্যা প্রায় ৭৪ লাখ হলেও, ১২শ’ জনের একটি বিশেষ কমিটি নেতা বাছাইয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান।

/এমএইচ/বিএ/
সম্পর্কিত
মিয়ানমারে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহরে কোণঠাসা জান্তা
আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় চীন ও ইন্দোনেশিয়া
ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ২৯ মাওবাদী নিহত
সর্বশেষ খবর
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বিমানবন্দরে বাস, প্রকৌশলী নিহত
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
ভারত-পাকিস্তান টেস্ট হবে দারুণ: রোহিত
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস আর নেই
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
পথের পাশের বাহারি শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটা?
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ