X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

পুনর্বিচারের মুখে দ. কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, বাড়তে পারে কারাদণ্ড

বিদেশ ডেস্ক
২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫৬আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫৭

সাজাভোগরত দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই-এর মামলা পুনর্বিচারের জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানোর রায় দিয়েছে দেশটির শীর্ষ আদালত। দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ওই বর্তমানে ২৫ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ঘুষ গ্রহণের দায়ে তার ভিন্ন সাজা হওয়া উচিত। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পুনর্বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে সাজার মেয়াদ বাড়তে পারে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই

২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাবেক সামরিক শাসক পার্ক চং হে-এর মেয়ে পার্ক জিউন হাই। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ার আইন প্রণেতারা তাকে অভিশংসিত করার পক্ষে রায় দেন। তখন থেকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রাখা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করা নিয়ে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে সাংবিধানিক আদালত। চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

পার্ক জিউন এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাধে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এরমধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন। পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে ২৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করে সিউলের আদালত।

বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, সিউলের আদালতে পার্ক জিউনের বিচারে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। আদেশে বলা হয়েছে, পার্ক জিউনের বন্ধুর মেয়েকে স্যামসাংয়ের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ২৮ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের যে তিনটি ঘোড়া দিয়েছিল তাও ঘুষ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

দীর্ঘ সময় ধরে কারাগারে থাকলেও বেশিরভাগ শুনানির সময়ই আদালতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পার্ক জিউন হাই। গত বছরের এপ্রিলে দণ্ড ঘোষণার সময়েও আদালতে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। বরাবরই এই সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন আর বলেছেন এই বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

/জেজে/
সম্পর্কিত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে সিরিজ ভূমিকম্প
আবারও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো উত্তর কোরিয়া
সর্বশেষ খবর
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
‘ভুঁইফোড় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
গরমে স্বস্তির খোঁজে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনতার আহ্বান ডিএমপির
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক