ইরাকের রাজধানী বাগদাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশ সহিংসতার জেরে সেখানে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বুধবার বিক্ষোভের প্রথম দিন বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় কমপক্ষে সাত জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ মানুষ।
এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই দেশজুড়ে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। তবে এই বিক্ষোভ বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। সরকারের দুর্নীতি ও বেকারত্ব বাড়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে বাগদাদের রাজপথে নামেন কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। তারা রাজধানীর সব প্রধান সড়ক বন্ধ করে দেয়। বিক্ষুব্ধদের দমনে কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালায় পুলিশ। বুধবার বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আরও তিন শহরে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কারফিউ জারি করে প্রশাসন। কয়েকটি এলাকায় বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেট সুবিধা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা থেকে বাগদাদে সব ধরনের যান এবং মানুষ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। তবে এই কারফিউর আওতায় থাকবে না বিমানবন্দরে আসা ভ্রমণকারী, অ্যাম্বুলেন্স, সরকারি হাসপাতালের কর্মচারী, বিদ্যুৎ ও পানি বিভাগ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা।
চাকরির সংকট, নিম্নমানের সেবা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় ইতোমধ্যে ইরাকের আরও তিন শহর নাসিরিয়া, আমারা ও হিল্লায় কারফিউ জারি রয়েছে।