হংকংয়ে বিপুল বিক্ষোভের জন্ম দেওয়া সেই বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল বাতিল করেছে দেশটির প্রশাসন। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিল বাতিলের ঘোষণা দেওয়া হয়। এই বিলের কারণে দেশটিতে বিগত কয়েকমাস ধরে বিক্ষোভ চলছিলো।
এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে,যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা,ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয় হংকংয়ের স্বাধীনতার দাবি। সাপ্তাহিকভাবে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ ক্রমাগত সহিংস হয়ে ওঠে।
পরে বুধবার বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করে হংকং। তবে বিল বাতিলেরও পর রাজপথে অবস্থান করছে আন্দোলনকারীরা। এখন তাদের দাবি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। ১৯৯৭ সালে চীনের শাসনে যাওয়ার পর থেকে এখন দেশটির অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। তাদের আন্দোলনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে চীনপন্থী নেতা সহ শাসন ব্যবস্থা।
আন্দোলনকারীদের পাঁচদফা দাবির একটি ছিলো এই বিল বাতিল। বাকিগুরো হলো,
i) এই আন্দোলনকে দাঙা না বলা
ii) আন্দোলনাকারীদের সাধারণ ক্ষমা
iii) পুলিশি নির্যাতনের স্বাধীন তদন্ত
iv) তাদের সম্পূর্ণ ভোটাধিকার নিশ্চিত করা
২৭ বছর বয়সী আন্দোলনকারী কনি বলেন, আমাদের আরও দাবি আছে যেগুলো এখনও পূরণ করা হয়নি। বিশেষ করে পুলিশি সহিংসতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে ক্যারি লামের দাবি, ওই বিলের বাইরের দাবি পূরণের এখতিয়ার তার নেই।