জর্ডান উপত্যকার আল বাকুরা এলাকায় ইসরায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। আম্মান তেল আবিবকে জানিয়েছে, আগামী রবিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবে তারা। তুর্কি বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
১৯৯৪ সালের করা শান্তি চুক্তির আওতায় জর্ডানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বাকুরা ও দক্ষিণাঞ্চলের ঘামার এলাকা ইসরায়েলি কৃষকরা ব্যবহার করতে পারে। চুক্তির একটি বিশেষ ধারার আওতায়, ইসরায়েলিদের সেখানে ভূমির ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকারের পাশপাশি অবাধ চলাচল করতে দেওয়া হয়। ইসরায়েলকে ইজারা দেওয়া ভূ-খণ্ড দুটি ইরাক ও সিরিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এর উত্তর দিকে সিরিয়া, পূর্বে ইরাক ও পশ্চিমে ইসরায়েলের অবস্থান। শান্তি চুক্তির শর্তানুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগে যদি কোনও পক্ষ আরেক পক্ষকে না জানায় যে, তারা চুক্তিটি বাদ দিতে চায়, তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নবায়ন হয়ে যাবে। চুক্তি শেষ করতে চায় জর্ডান এ কথা গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েলকে জানিয়ে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) অধিকৃত জর্ডান উপত্যকা কাউন্সিলের প্রধান ইদান গ্রিনবাউম ইসরায়েলি সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ৭ কে জানিয়েছেন, উর্বর আল বাকুরা ছিটমহলে প্রবেশ নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে ইসরায়েলি কৃষকরা।
ওই চুক্তির চুক্তির আওতায় জর্ডান সীমান্ত সংলগ্ন এক হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করে থাকে ইসরায়েল। ওয়াদি আরাবা মরুভূমির এলাকাটিতে ব্যাপক অর্থকরী ফসল উৎপাদন করে ইসরায়েল। এসব ফসল ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
১৯২০’র দশকে রুশ ইহুদি প্রকৌশলী পিনহাস রুটেনবার্গ ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি নিয়ে ফিলিস্তিনে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেন। ওই সময় থেকেই জর্ডানের বাকুরা এলাকায় ইসরায়েলি নাগরিকরা ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকার পায়। ১৯৯৪ সালের চুক্তিতে এলাকাটিতে জর্ডানের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা হয়। তবে ইসরায়েলি নাগরিকদের ভূমির ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকার অক্ষুণ্ন রাখা হয়।