ইয়েমেন সীমান্তে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সৌদি আরবের দুই সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের নাম আল গামিদি ও বদর ইসা ইসসিলমি। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি।
প্রতিবেদনে নিহতদের পদমর্যাদা প্রকাশ করা হয়নি। ঠিক কখন, কী পরিস্থিতিতে তারা নিহত হয়েছেন, সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে সীমান্তে মাঝেমধ্যেই ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয় সোদি সেনারা।
সৌদি আরবের নাজরান ও জিজানে একাধিকবার হুথি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ মাসের গোড়ার দিকেই রিয়াদ জানায়, জিজানে তাদের পাঁচ সেনা নিহত হয়েছে।
২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদু রাব্বু মনসুর আল হাদিকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করে হুথি বিদ্রোহীরা। পালিয়ে সৌদিতে আশ্রয় নেন হাদি। তাকে ক্ষমতায় ফেরাতে ২০১৫ সালের জুনে ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। পাল্টা প্রতিরোধের অংশ হিসেবে সৌদি সীমান্তবর্তী বিভিন্ন প্রদেশে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। গত মে মাসের শেষদিকে পবিত্র নগরী মক্কা ও জেদ্দায় দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলে তা ধ্বংস করার দাবি করে সৌদি প্রতিরক্ষা বাহিনী। প্রায় একই সময় সৌদির নাজরান বিমানবন্দরে তিন দফায় হামলা চালানোর দাবি করে হুথি বিদ্রোহীরা। এরপরও বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় তেলক্ষেত্রসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা অব্যাহত রাখে বিদ্রোহীরা। হুথিদের দাবি, তারা সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৩০০ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা অব্যাহত রাখবে। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।