লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর ‘গণহত্যা’ বন্ধের জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। বুধবার (২০ নভেম্বর) তিনি এ আহ্বান জানান।
২০ অক্টোবর বলিভিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জয়ী হন ইভো মোরালেস। তবে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ আনে। এক পর্যায়ে মোরালেসের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। ১০ নভেম্বর (রবিবার) সেনাবাহিনী ও বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট মোরালেস। পরদিন তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার কথা জানায় মেক্সিকো। একদিন পর তিনি মেক্সিকোয় পৌঁছে রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এরই মধ্যে ১২ নভেম্বর পার্লামেন্টে কোরাম সংকটের মধ্যে নিজেকে বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন দেশটির বিরোধীদলীয় সিনেটর জেনিন আনেজ। এরপরই রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান মোরালেস। আর তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আন্দোলন করে তার সমর্থকরা। পরে তাদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দিনের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৩২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার মোরালেস বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের ওপর বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার মাত্রাতিরিক্ত শক্তি ব্যবহার করছে।’ বলিভিয়ার এল আলতো শহরে একটি গ্যাস স্থাপনা অবরোধের সময় পুলিশের গুলিতে ছয় বিক্ষোভকারী নিহত হওয়ার পর মোরালেস এ আহ্বান জানালেন।
বলিভিয়ার বামপন্থী এ নেতা জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত ইন্টার-আমেরিকান কমিশনের প্রতি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো এবং তার সমর্থকদের ওপর গণহত্যা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। এর একদিন আগে মোরালেস বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার নীতি গ্রহণের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তার সমর্থকদের ব্যাপারে সরকার এই নীতি গ্রহণ করেছে।