X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিল্লিতে আদিবাসীদের বিক্ষোভ

বিদেশ ডেস্ক
২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:২৯আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:৩১

ভূমি থেকে উচ্ছেদের আশঙ্কায় ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে বিক্ষোভ করেছেন আড়াই হাজারের বেশি আদিবাসী। বৃহস্পতিবার তীর ও ধনুক এবং প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ করেন তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এখবর জানিয়েছে।

উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিল্লিতে আদিবাসীদের বিক্ষোভ

ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দশ লাখের বেশি বনবাসীকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। বসবাসরত ভূমির মালিকানা প্রত্যাখ্যান করে ২১টি রাজ্যকে নির্দেশ দেয় কীভাবে তারা এই ভূমির দাবি করছে তা খতিয়ে দেখতে। এই বনবাসীদের অধিকাংশই আদিবাসী উপজাতি সম্প্রদায়ের। তাদের দাবি বনের ভূমির মালিকানা তারা পেয়েছে বন অধিকার আইনের ভিত্তিতে। ২০০৬ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে পাস হওয়া এই আইনে ভারতের বনাঞ্চলের ৪ কোটি হেক্টর ভূমিতে এই আদিবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়েছিল। দেশটিতে ১০৪ মিলিয়ন মানুষ আদিবাসী মানুস বাস করছেন। যা ভারতের মোট জনসংখ্যার দশ শতাংশ।

বিক্ষোভকারী বনবাসীদের দাবি, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি বন অধিকার আইন বাতিল করতে পারে– এই আশঙ্কায় তারা প্রতিবাদ করছেন।

২৪ ঘণ্টার বেশি ভ্রমণ করে নয়া দিল্লিতে এসেছেন সাস্তে। তিনি বলছেন, তার জেলার বন কর্মকর্তারা তাদের সতর্ক করেছেন সহযোগিতার জন্য এবং ভূমির মালিকানা ছেড়ে দিতে। তিনি বলেন, গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে যাতে করে আমরা জমি ছেড়ে চলে যাই। আমরা কোথায় যাব? বংশ পরম্পরায় আমরা এই ভূমিতে বাস করে আসছি এবং এর অধিকার আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমাদেরকে নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে হবে।

সাস্তে আরও বলেন, সরকারে আমাদের পাশে নেই। তা না হলে সুপ্রিম কোর্ট এমন আদেশ দিত না।

বন অধিকার আইনের বিরুদ্ধে কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন ও অবসরপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ওই আদেশ দিয়েছিল। আবেদনকারীদের দাবি, আইনটির ফলে বন টুকরো টুকরো ও জীব-বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে এবং অরণ্যবিনাশ ঘটছে। 

/এএ/
সম্পর্কিত
পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার ভোট শেষেই বিজয় মিছিল
লোকসভা নির্বাচনপ্রথম ধাপে ভোটের হার ৬০ শতাংশ, সর্বোচ্চ পশ্চিমবঙ্গে
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
সর্বশেষ খবর
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
দ্বিতীয় বিয়ের চার দিন পর বৃদ্ধকে হত্যা, দুই ছেলে পলাতক
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
লখনউ ও চেন্নাইয়ের অধিনায়ককে ১২ লাখ রুপি জরিমানা 
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেলো ইউপি সদস্যের
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা
সিনেমা সমালোচনাদেয়ালের দেশ: মন খারাপ করা সিনেমা