চীনকে গণতন্ত্রের শত্রু আখ্যা দিয়েছে তাইওয়ান। সম্প্রতি অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে তাইওয়ানে চীনা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠে আসে। এরপর দ্বীপ রাষ্ট্রটির ক্ষমতাসীন পার্টির চেয়ারম্যান চো জুং-তাই বেইজিংকে তাদের সবচেয়ে লোভী প্রতিপক্ষ আখ্যা দেন। আসন্ন প্রেসিডেন্ট ও আইনসভা নির্বাচনকে সামনে সেখানকার রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সমালোচনাও করেন তিনি।
অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি ওয়াং লিকিয়ান নামে এক চীনা নাগরিক অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। নিজেকে চীনা গুপ্তচর দাবি করে তিনি অভিযোগ করেছেন, অর্থ দিয়ে তাইওয়ান, হংকং ও অস্ট্রেলিয়ায় গুপ্তচরবৃত্তি পরিচালনা করছে বেইজিং। তার দাবি, দেশ ফিরলে নিপীড়নের শিকার হবেন। অন্যদিকে চীন বলছে, ‘স্বঘোষিত গুপ্তচর’ লিকিয়ান নিজ দেশে প্রতারণার অভিযোগে পলাতক রয়েছেন।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। দেশটির স্বাধীনতাপন্থী ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির চেয়ারম্যান চো জুং-তাই বলেছেন, চীন থেকে প্রচুর ভুয়া সংবাদ এসেছে সেগুলোর অধিকতর তদন্ত দরকার। তাইপের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের শত্রু চীন। বর্তমানে তাইওয়ানের সবচেয়ে লোভী প্রতিপক্ষ ও প্রতিযোগী হচ্ছে বেইজিং।’
উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে চীনের নিজস্ব ভূখন্ড মনে চীন। প্রয়োজনে জোর করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবে তারা। আর ওই অভিযোগকারীকে প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করেছে বেইজিং।