সুদানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে দুর্নীতির দায়ে দুই বছর সংশোধনাগারে আটক রাখার আদেশ দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুর্নীতি ও বৈদেশিক মুদ্রা অবৈধভাবে দখলে রাখার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ওই সাজা দেয় রাজধানী খার্তুমের একটি আদালত।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। জ্বালানি ও রুটির দাম বৃদ্ধির এক সরকারি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বাসা থেকে ৭০ লাখ মিলিয়ন ইউরো, তিন লাখ ৫১ হাজার ডলার এবং ৫০ লাখ সুদানিজ পাউন্ড জব্দ করে কর্তৃপক্ষ। পরে আইনজীবীরা আল-বশিরকে দুর্নীতি, বিদেশি মুদ্রা দখল ও অবৈধভাবে উপহার গ্রহণের দায়ে অভিযুক্ত করেন। তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই বন্দি রয়েছেন।
শনিবার রায় ঘোষণা করে বিচারক আল সাদিক আবদেলরহমান বলেন, বয়স বিবেচনায় ৭৫ বছর বয়সী বশিরকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় তাকে আদালতে হাজির করে কর্তৃপক্ষ। সে সময় তাকে লোহার একটি খাচার ভিতরে রাখা হয়েছিল।
১৯৮৯ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে সুদানের ক্ষমতায় আসা বশিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ছাড়াও নানা রকমের দুঃশাসন এবং দেশের সম্পদ অপব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। সুদানে সম্প্রতি যে বিক্ষোভ হয়েছে তাতে হত্যাকাণ্ড চালানো এবং হত্যার উসকানি দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে বশিরের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে তার আইনজীবী মোহাম্মদ আল-হাসান এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলছেন, এসব অভিযোগের আইনগত কোনও ভিত্তি নেই।