X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

বিদেশ ডেস্ক
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৪আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৪০

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে দেশটির মাত্র তিনজন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসিত হয়েছিলেন। তারা হলেন, অ্যান্ড্রু জনসন, বিল ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এখন পর্যন্ত কোনও প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের ফলে দায়িত্ব ছাড়তে হয়নি। এই তিনজন ছাড়া প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন তদন্তের মুখে পড়েছিলেন রিচার্ড নিক্সন। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণে অভিশংসন হুমকির মুখে পড়েছিলেন কংগ্রেসে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রণেতারা সচেতনভাবেই কোনও দায়িত্বরত প্রেসিডেন্টকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রক্রিয়াকে কংগ্রেসের জন্য কঠিন করে রেখেছেন। যদি প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটি অভিযোগের যথেষ্ট ভিত্তি পায় তাহলে তাদের অভিশংসন প্রস্তাব পরিষদের কাছে ভোটের জন্য তুলে ধরা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত করতে প্রতিনিধি পরিষদের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ট। কিন্তু এর অর্থ নয় যে, অভিশংসিত হলেই প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হবে। চূড়ান্ত ধাপ হলো সিনেটের অভিশংসন বিচার। যদি দুই-তৃতীয়াংশ সিনেটর মনে করেন অভিশংসন ধারায় প্রেসিডেন্ট দোষী তাহলে তাকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হবে।

যদিও কংগ্রেস আটজন ফেডারেল কর্মকর্তাকে অভিশংসিত ও দায়িত্ব থেকে সরিয়েছে। তারা সবাই ছিলেন ফেডারেল বিচারক। এখন পর্যন্ত সিনেটে অভিশংসন বিচারে কোনও প্রেসিডেন্ট দোষী প্রমাণিত হননি। অ্যান্ড্রু জনসন দায়িত্ব ছাড়ার খুব কাছাকাছি ছিলেন। তবে মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে রায় তার পক্ষে যায়।

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

অ্যান্ড্রু জনসন: ১৮৬৮ সালে অভিশংসিত

১৮৬৪ সালে আব্রাহাম লিংকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন জনসন। লিংকনের দ্বিতীয় মেয়াদে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল গৃহযুদ্ধ অবসানের পর কীভাবে কনফেডারেট অঙ্গরাজ্যগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হবে। লিংকনের পুনর্গঠন পরিকল্পনা ছিল সময় সাপেক্ষ। তার দলের তথাকথিত ‘র‍্যাডিক্যাল রিপাবলিকানরা’ চেয়েছিল দক্ষিণের রাজনীতিকদের শাস্তি এবং মুক্ত দাসদের পূর্ণ নাগরিক সুবিধা দেওয়ার পক্ষে।

দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ৪২ দিনের মধ্যে হত্যা করা হয় লিংকনকে। এর ফলে পুনর্গঠনের দায়িত্ব বর্তায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জনসনের কাঁধে। দ্রুতই কংগ্রেসে র‍্যাডিক্যাল রিপাবলিকানদের সঙ্গে তার বিরোধ বাঁধে। তিনি কনফেডারেট নেতাদের ক্ষমা ও দাসদের রাজনৈতিক অধিকারের প্রস্তাবে ভেটো দিয়ে বিরোধিতা করেন। ১৮৬৭ সালে কংগ্রেস ‘টেনার অব অফিস’ আইন পাস করে। এই আইনের ফলে সিনেটের অনুমোদন ছাড়া মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যকে অব্যাহতি দিতে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়।

এই আইনকে অসাংবিধানিক মনে করে অনড় জনসন তার যুদ্ধমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন। যিনি ছিলেন কংগ্রেসের র‍্যাডিক্যাল রিপাবলিকানদের একজন মিত্র। জনসনের বিরোধিরা প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাব আনে।

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

প্রতিনিধি পরিষদে ১২৬-৪৭ ভোটে অভিশংসিত হন এই প্রেসিডেন্ট। কিন্তু মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে সিনেটের রায়ে দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন তার বিরুদ্ধে যায়নি। বেকসুর খালাস পাওয়ার পর তিনি তার মেয়াদ পূরণ করেন। পরে তিনিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ও একমাত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বিল ক্লিনটন: ১৯৯৮ সালে অভিশংসিত

হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আইনি জটিলতা ও যৌন কেলেঙ্কারির মুখে পড়েন ক্লিনটন। ১৯৯৩ সালে ক্লিনটন ও ফার্স্ট লেডি হিলারি তথাকথিত ‘হোয়াইটওয়াটার বিতর্কে’ জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের তদন্তের মুখে পড়েন। ১৯৯৪ সালে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন পাওলা জোন্স নামের নারী। তিনি দাবি করেন, ১৯৯১ সালে একটি হোটেল কক্ষে তাকে হয়রানি করেন ক্লিনটন।

মজার বিষয় হলো ক্লিনটনের অভিশংসিত হওয়ার পেছনে এই দুইটি অভিযোগের ভূমিকা ছিল। স্বতন্ত্র কাউন্সেল কেনেথ স্টারকে হোয়াইটওয়াটার ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেয় জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু তিনি অভিশংসন করার মতো কোনও প্রমাণ পাননি। কিন্তু জোন্সের আইনজীবী একটি গোপন খবর পান যে, হোয়াইট হাউসের ইন্টার্ন মনিকা লিওনস্কির সঙ্গে ক্লিনটনের যৌন সম্পর্ক রয়েছে। যদিও এই অভিযোগ লিওনস্কি ও ক্লিনটন উভয়েই শপথ নিয়ে অস্বীকার করেন।

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

স্টার তার তদন্তের মনোযোগ এই অভিযোগের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীভুত করেন। মূলত লিওনস্কি ও হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মী লিন্ডা ট্রিপের ২০ ঘণ্টার ফোনালাপ তার হাতে আসার পর এই উদ্যোগ নেন তিনি। ওই ফোনালাপে লিওনস্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এরপর স্টার এফবিআই’র একজনকে আড়িপাতার যন্ত্রসহ পাঠান লিওনস্কির কাছে রিৎজ কার্লটন হোটেলে। সেখানেও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন হোয়াইট হাউসের এই ইন্টার্ন।

পুরো ঘটনা যখন প্রকাশ হয়ে পড়ে ক্লিনটন বাধ্য হন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে। এজন্য টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।

স্টারের তদন্ত দল লিওনস্কির সঙ্গে ক্লিনটনের যৌন সম্পর্কের ওপর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে তারা তুলে ধরেন যে, তদন্ত বাধাগ্রস্ত করতে ক্লিনটন শপথ নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন।

১৯৯৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রতিনিধি পরিষদ দুটি অভিযোগে ক্লিনটনকে অভিশংসিত করে। অভিযোগ দুটো হলো, শপথ নিয়ে মিথ্যাচার ও বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। কিন্তু সিনেটের বিচারে উভয় অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি।

বিব্রতকর ও প্রকাশ্য কেলেঙ্কারি এবং দেশটির ইতিহাসে অভিশংসিত হওয়া দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও ১৯৯৯ সালে ক্লিনটনের গ্রহণযোগ্যতা ছিল সর্বোচ্চ পর্যায়ে, ৭৩ শতাংশ।

ডোনাল্ড ট্রাম্প: অভিশংসিত ২০১৯

তৃতীয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে এ অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়।

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া ফোনালাপে দেখা যায়, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে রীতিমতো চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। ওই ফোনালাপের ভিত্তিতে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করার পর ট্রাম্পের অভিশংসনের দাবি সামনে আসে। তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তদন্ত শুরু করে ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ। ১৩ ডিসেম্বর পরিষদের হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটিতে অভিযোগের ওপর ভোটগ্রহণ করা হলে ২৩-১৭ ভোটে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হয়।

১৮ ডিসেম্বর প্রতিনিধি পরিষদের ২২৯ জন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ট্রাম্পের অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে, ১৯৭ রিপাবলিক প্রতিনিধি ট্রাম্পের অভিশংসনের বিপক্ষে ভোট দেন। এখন উচ্চকক্ষ সিনেটে ট্রাম্পের বিচার হবে। তবে সিনেটে যেহেতু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত তাই সেখানে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। আগামী জানুয়ারি মাসে সিনেটের বিচার অনুষ্ঠিত হবে।

রিচার্ড নিক্সন: পদত্যাগ ১৯৭৪

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে পড়ার পরও প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন কখনও অভিশংসিত হননি। তাকে অভিশংসিত করার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি যদি দায়িত্ব না ছাড়তেন তাহলে হয়ত তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতেন যাকে অভিশংসিত হওয়ার পর হোয়াইট ছাড়তে হতো।  

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

১৯৭৪ সালের ২৭ জুলাই কয়েক মাসের তদন্তের পর প্রতিনিধি পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটি নিক্সনের বিরুদ্ধে অভিশংসন ধারা বাস্তবায়নের প্রস্তাব আনে। তার বিরুদ্ধে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে নিজেকে বাঁচাতে তদন্তে বাধা দেওয়ার দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। জুডিশিয়ারি কমিটির রিপাবলিকান সদস্যদের অল্প কয়েকজন অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। ওই সময় এটি স্পষ্ট ছিল না যে, যদি প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাব ও সিনেটের বিচারে যেত তাহলে তা যথেষ্ট সমর্থন পেত কিনা।

কিন্তু ১৯৭৪ সালের ৫ আগস্ট সবকিছু পাল্টে যায়। যখন সুপ্রিম কোর্টে নিক্সনের অসম্পাদিত একটি কথোপকথন প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। ওই কথোপকথনে ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির তদন্তের সময় হোয়াইট হাউসের কর্মীদের সঙ্গে ওভাল অফিসে কথা বলছিলেন নিক্সন। তথাকথিত ‘স্মোকিং গান টেপ’-এ উঠে আসে, এফবিআই’র তদন্তে বাধা দিতে নিক্সন সিআইকে প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। এমনকি ওয়াটারগেট ছিনতাইকারীদের তিনি অর্থ দেওয়ারও প্রস্তাব দিচ্ছেন।

এটি প্রকাশ হওয়ার পর রিপাবলিকানদের কংগ্রেশনাল নেতৃত্ব নিক্সনকে জানায় যে, অভিশংসন বিচারে ১৫ জন সিনেটর তার বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। এতে সিনেটে অভিশংসন বিচারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ট সমর্থন তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কর্তৃক বরখাস্ত হওয়া প্রেসিডেন্ট হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে ১৯৭৪ সালের ৮ আগস্ট নিক্সন পদত্যাগ করেন।

জেরাল্ড ফোর্ড নিক্সনকে ফৌজদারি অভিযোগ থেকে ক্ষমা করেন। কিন্তু ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীরা এতো সৌভাগ্যবান ছিলেন না। জন ডিনসহ হোয়াইট হাউসের বেশির ভাগ কাউন্সেলকে কেলেঙ্কারিতে তাদের ভূমিকার জন্য কারাগারে যেতে হয়েছে।


অভিশংসন হুমকির মুখে পড়া প্রেসিডেন্টরা

বেশ কয়েকজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবি উঠেছিল। এদের মধ্যে ছিলেন ছয়জন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তবে খুব কম অভিযোগই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে কংগ্রেস।

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটনকে অভিশংসন করার জোর দাবি তুলেছিল তার নীতির বিরোধিতাকারীরা। তবে এসব দাবি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব বা অভিযোগ পর্যন্ত গড়ায়নি।

জন টাইলার ছিলেন প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি অভিশংসন অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন। উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ত্রিশ দিনের মাথায় মারা গেলে তিনি দায়িত্ব পান। তবে তার নিজ দল হুইগ পার্টিতে তার জনপ্রিয়তা খুব কম ছিল। ভার্জিনিয়া থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের এক সদস্য তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনেন। কিন্তু কখনও তা ভোটে যায়নি।

১৯৩২ ও ১৯৩৩ সালে এক কংগ্রেস সদস্য প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হোভার-এর বিরুদ্ধের দুটি অভিশংসন প্রস্তাব আনেন। কিন্তু বড় ব্যবধানে এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়।

প্রতিনিধি পরিষদে টেক্সাস থেকে নির্বাচিত  ডেমোক্র্যাট নেতা হেনরি বি. গনজালেস অভিশংসন প্রস্তাব আনেন রোনাল্ড রিগ্যানজর্জ এইচ.ডব্লিউ. বুশ-এর বিরুদ্ধে । তবে পরিষদের জুডিশিয়ারি কমিটি কোনও প্রস্তাবই ভোটের জন্য তুলেনি।

অভিশংসনের মুখোমুখি হওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্টরা

জর্জ ডব্লিউ. বুশ কিছুটা কঠিন অভিশংসন হুমকির মুখে পড়েছিলেন। প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাট সদস্য ডেনিস কুসিনিখ তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন। প্রতিনিধি পরিষদে ২৫১-১৬৬ ভোটে অভিযোগটি জুডিশিয়ারি কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তবে স্পিকার পেলোসি বলেছিলেন, অভিশংসন নিয়ে কোনও আলোচনাই হবে না।

অভিশংসন হুমকির মুখে পড়েছিলেন বারাক ওবামা। প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্য ওয়াল্টার জোন্স তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া লিবিয়ায় সামরিক অভিযান চালানোর অভিযোগ আনেন। প্রস্তাবটি জুডিশিয়ারি কমিটির কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু তা কখনও ভোটে দেওয়া হয়নি। সূত্র: হিস্টোরি ডট কম।

/এএ/
সম্পর্কিত
ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে: ম্যাক্রোঁ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিমার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনে ভিত্তিহীন তথ্য রয়েছে
মহাকাশে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধে জাতিসংঘের ভোটে রাশিয়ার ভেটো
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা