সংশোধিত আইনের আওতায় (সিএএ) নাগরিকত্ব দিতে উত্তর প্রদেশের ২১ জেলার ৩২ হাজার ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে রাজ্য সরকার। তাদের শনাক্ত করার পদ্ধতি নিয়ে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেয়নি কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সিএএ’র গেজেট প্রকাশের পর ওই আইন বাস্তবায়নের দিক দিয়ে প্রথম রাজ্য হিসেবে ওই উদ্যোগ নিলো লখনৌ সরকার। তবে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের কাঠামো এখনও ঠিক করা হয়নি।
২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে পাস হয় দেশটির বহুল বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই গত শুক্রবার রাতে এক গেজেট বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আইনটি কার্যকরের তথ্য জানায় নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। গেজেটে বলা হয়েছে, আইনটি ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে। এমন বাস্তবতায় ওই আইন বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি তৎপর বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ সরকার।
উত্তর প্রদেশের মন্ত্রী ও সরকারের মুখপাত্র শ্রীকান্ত শর্মা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ‘আমরা এই উদ্যোগের মাধ্যমে তাড়াহুড়ো করছি না। আমরা কেবল শুরু করেছি মাত্র। একবার আইন যেহেতু তৈরি হয়েছে, বাস্তবায়ন তো করতে হবে, ঠিক না? এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তালিকা তৈরির জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিপ করছেন। সংখ্যা বাড়তে থাকবে ধীরে ধীরে। ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও এ তালিকা জানানো হবে।’
বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে নিপীড়নের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, পার্সি ও খ্রিষ্টানদের নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সম্প্রতি আইন সংশোধন করেছে ভারত। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পরেই আইনে পরিণত হওয়া বিলটি শুরু থেকেই মুসলিমবিরোধী আখ্যা পেয়েছে। বিতর্কিত এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে সরব একাধিক রাজনৈতিক দল। চলছে দফায় দফায় বিক্ষোভ।