ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি কিভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে তা নিয়ে সেনাবাহিনীর আরও ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বুধবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এক ভাষণে বলেন, ওই ঘটনা তদন্তে সেনাবাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ আরও সংহত হতে হবে।
ইরানের কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার বদলা নিতে গত ৮ জানুয়ারি ইরাকের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। একই দিনে তেহরান থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে ১৭৬ আরোহীসহ ইউক্রেনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজ উইক নিজস্ব অনুসন্ধান শেষে জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বিমানটি ভূপাতিত করেছে ইরান। প্রথমে অস্বীকার করলেও একপর্যায়ে বিমানটি ভূপাতিত করার কথা স্বীকার করে তেহরান। তবে প্রথমে অস্বীকার করায় ইরানি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
বুধবার টেলিভিশন ভাষণে প্রেসিডেন্ট হাসার রুহানি বলেন, ‘প্রথম বিষয় হলো মানুষকে সৎভাবে জানাতে হবে। যা ঘটেছে তার জন্য দায় অনুভব করছি বোঝাতে পারলে আর তাদের সঙ্গে সৎভাবে কথা বললে মানুষের ক্ষোভ উপশম হবে’। বিমান ভূপাতিত হওয়ার মুহূর্ত থেকে কোন কোন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে তা সেনাবাহিনীকে ব্যাখ্যা করার আহ্বান জানান তিনি।