তেহরান থেকে উড্ডয়নের পর দুটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভূপাতিত হয় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি। ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য টর-এম১ ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উত্তর দিক থেকে ছোড়া হয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ ওই প্রতিবেদনটি হাতে পেয়েছে। 
গত ৮ জানুয়ারি (বুধবার) সকালে তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে উড্ডয়নের পরপরই ইউক্রেন এয়ারলাইন্সের বিমানটি ১৮০ যাত্রীসহ বিধ্বস্ত হয়। এর কয়েক দিনের মাথায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক দাবি করে ভুল করে বিমানটি ভূপাতিত করেছে ইরান। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে সশস্ত্র বাহিনীর অভ্যন্তরীণ তদন্তের প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে বিমানটি ভুল করে ভূপাতিত করার স্বীকারোক্তি দিয়ে ক্ষমা চায় তেহরান। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণাও দেয় তারা।
মঙ্গলবার ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ইরানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে বিমানটি বিধ্বস্তের নানা বিষয় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১২ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে এবং আট হাজার একশো ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
এছাড়া বিমানটি ৬টা ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় পর্যায়ের নজরদারি রাডার থেকে হারিয়ে যায় আর মূল নজরদারি রাডার থেকে হারায় ৬টা ১৮ মিনিটে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিমানটি একটি আবাসিক এলাকার ওপর দিয়ে উড়ছিল আর ভূপাতিত হয়ে প্রথমে এটি একটি পার্কে পড়ে। পরে টুকরো টুকরো হয়ে এর বিভিন্ন অংশ কাছের একটি খেলার মাঠ, কৃষিজমি ও বাগানে ছড়িয়ে পড়ে।
ইরানের নতুন ওই তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটির উদ্ধারকৃত ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার ও ককপিট ভয়েস রেকর্ডার বিশ্বের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম। আর এগুলোতে রক্ষিত বার্তা উদ্ধারের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ইরানের নেই। এই বার্তা উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ইরানে পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারীরা।
