X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি নয় বরং শতাব্দীর সেরা বিশ্বাসঘাতকতা’

বিদেশ ডেস্ক
২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১১:১৬আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২০, ১১:৪৪

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’। মঙ্গলবার ইসরায়েলি নেতাদের নিয়ে ট্রাম্প এ পরিকল্পনা ঘোষণার পর রাতেই এ নিয়ে কথা বলেন ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি। তিনি বলেন, ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনা শতাব্দীর সেরা চুক্তি নয় বরং এটি হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শতাব্দীর সেরা বিশ্বাসঘাতকতা। ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি নয় বরং শতাব্দীর সেরা বিশ্বাসঘাতকতা’
তেহরান মনে করে, ফিলিস্তিনিদের ওপর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে চাপিয়ে দেওয়া এই লজ্জাজনক পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে বাধ্য।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ পরিকল্পনা উত্থাপন করে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশাপাশি গোটা মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।

এ পরিকল্পনা প্রতিহত করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের স্বাধীনচেতা জাতিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান মুসাভি।

ফিলিস্তিনি জনগণকে ইসরায়েলসহ গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের প্রকৃত মালিক বলে উল্লেখ করেন সাইয়্যেদ মুসাভি।

তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড জবরদখল করে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কাজেই সেখানকার সংকট সমাধানের একমাত্র উপায় ফিলিস্তিনের প্রকৃত অধিবাসী মুসলমান, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের মধ্যে গণভোটের ব্যবস্থা করা যাতে তারা নিজের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে ধরে নিয়ে আসা অবৈধ ইহুদি অভিবাসীরা এই গণভোটের বাইরে থাকবে।

ইরানের দৃষ্টিতে ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমকে মুসলিম বিশ্বের এক নম্বর সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেন ইরানের এই মুখপাত্র। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে কিছু মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করার এই পরিকল্পনা মেনে নিয়েছে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড হিসেবে দেখানো হয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলি দখলদারিত্বের ফলে শরণার্থীতে পরিণত হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার অধিকার অস্বীকার করা হয়েছে। জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের অংশবিশেষ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে নামমাত্র একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে; যে রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনও সেনাবাহিনী থাকবে না।

ফিলিস্তিনিদের পাশাপাশি বিশ্বের বহু মুসলিম দেশ ট্রাম্পের এই একতরফা বা বর্ণবাদী পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে। ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “আমি হাজার বার বলেছি, এ পরিকল্পনা মানি না, মানি না, মানি না।”

ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি উপস্থাপনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে টেলিফোন করলেও তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেছেন, যে পরিকল্পনায় জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা না থাকছে সে পরিকল্পনা তিনি মেনে নেবেন না।

/এমপি/
সম্পর্কিত
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
যুক্তরাষ্ট্র বড় শক্তি, তাদের পরোয়া করতে হয়: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
সর্বশেষ খবর
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
প্রস্তুত বলী খেলার মঞ্চ, বসেছে মেলা
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
দুই মাসে ব্র্যাক ব্যাংকে আড়াই হাজার কোটি টাকা নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন 
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়নি
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা
হংকং ও সিঙ্গাপুরে নিষিদ্ধ হলো ভারতের কয়েকটি মসলা