X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানেও একুশের উত্তাপ

বিদেশ ডেস্ক
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৪৪আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৪৮
image

যে রাষ্ট্র একদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলা ভাষাভাষী মানুষের অধিকারকে রক্তাক্ত করেছিল, সেই পাকিস্তানেও লেগেছে একুশের উত্তাপ। বাংলাদেশের ভাষা শহীদ দিবসকে বিশ্বের আর সব দেশের মতো করেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করছে তারাও। সেখানেও আওয়াজ উঠেছে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি নির্বিশেষে সব মানুষের মাতৃভাষাকে সুরক্ষিত করার। পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর থেকে জানা গেছে,  মাতৃভাষার গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে সেখানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে সেমিনার, আলোচনা সভা, উৎসব ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়েছে।

পাকিস্তানেও একুশের উত্তাপ

স্বৈরতান্ত্রিক ক্ষমতার পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আজকের বাংলাদেশের মানুষ প্রথম মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিল ভাষার প্রশ্নে। ‘বাংলা’কে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। ইতিহাসের এই অনন্য নজির ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। ওই বছরের নভেম্বরে ইউনেস্কোর সাধারণ সভায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রতিবছর ভাষাবিদ্যা, ভাষার বহুত্ব এবং সাংস্কৃতিক বহুমুখিতাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হচ্ছে।

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও বাংলাদেশের ভাষাশহীদ দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এদিকে ফেডারেল রাজধানী ইসলামাবাদে পাকিস্তান ন্যাশনাল কাউন্সিল অব আর্টস (পিএনসিএ) ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা সাহিত্য উৎসবের আয়োজন করেছে। তিন দিনের ওই উৎসবে ভাষা ও সাহিত্যের ভিন্ন ভিন্ন দিক নিয়ে বক্তারা কথা বলবেন। অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা ও প্রদর্শনী।  

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইসলামাবাদের লোক ভিরসা জাদুঘর এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। ‘পাকিস্তানের বিভিন্ন ভাষার সুরক্ষা নিশ্চিতে সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জসমূহ’ শিরোনামের ওই আলোচনায় অংশ নেবেন প্যানেল আলোচকরা।

এছাড়া পাকিস্তানের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।  

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৬ মে তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এ/আরইএস/৬১/২৬৬ নম্বর নথি অনুসারে, সকল সদস্য দেশের উদ্দেশে, ‘বিশ্বের সকল ভাষার সংরক্ষণ এবং সুরক্ষার বিষয়টি’ প্রচার করতে বলা হয়। একই নথিতে ভাষাসমূহের মধ্যে বহুভাষা এবং বহু সংস্কৃতির মধ্যে বহুমুখিতার ঐক্যবদ্ধতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৮ সালকে ‘ভাষাসমূহের আন্তর্জাতিক বছর’ বলে ঘোষণা করা হয়।

/বিএ/
সম্পর্কিত
সমলিঙ্গের বিয়ে অনুমোদনের পথে থাইল্যান্ড
মস্কোয় কনসার্টে হামলা: প্রশ্নের মুখে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা
সুপেয় পানির অপচয়, বেঙ্গালুরুতে ২২ পরিবারকে জরিমানা
সর্বশেষ খবর
ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাংলাদেশের আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
বাংলাদেশের আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
শিশু অপহরণ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করতো চক্রটি
শিশু অপহরণ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করতো চক্রটি
রাজধানী স্থানান্তর করছে ইন্দোনেশিয়া, বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছে জাকার্তা
রাজধানী স্থানান্তর করছে ইন্দোনেশিয়া, বিশেষ মর্যাদা পাচ্ছে জাকার্তা
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে