দিল্লি সহিংসতার প্রায় চারদিন পর মুখ খুললেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমার ভাই ও বোনদের দিল্লিতে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায়ের আবেদন জানাচ্ছি।’ এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দফতর এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি।
বিতর্কিত সিএএ আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান নিয়ে টানা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন নারীরা। ওই অবস্থানের কারণে বন্ধ হওয়া সড়ক কর্তৃপক্ষ খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার পর গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত থেকে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জবাবে পরদিন (রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টায় প্রায় এক কিলোমিটার দূরের মৌজপুর চকে সিএএ সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন দিল্লির বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। হিন্দুত্ববাদী কপিলের সেই উসকানির পর সহিংসতা নতুন মাত্রা পায়। তাণ্ডব চালানো হয় মসজিদসহ মুসলিমদের দোকানে। হতাহত হয় বহু মানুষ।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমার দফতর পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। আশা করি সবাই শান্তি বজায় রাখবেন। টুইট বার্তায় তিনি আরও বলেছেন, দীর্ঘ পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে। পুলিশসহ অন্য নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি ও সম্প্রীতি বজায়ে তৎপর।
শান্তি ও সম্প্রীতি দেশের কেন্দ্রীয় আবেগ উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, এখন সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ দিল্লিতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনা।"
দিল্লির চলমান সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারতের রাজধানীতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ২৪ ঘণ্টায় তিনটি বৈঠক করেছেন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপরও সেখান থেকে একের পর এক মৃত্যুর খবর আসে। এক আদেশে গত তিন দিনে রাজধানীর সহিংসতায় আহতদের জরুরি চিকিৎসা ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা জারি করেছেন দিল্লির হাইকোর্ট।