দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও এখন পর্যন্ত দিল্লির হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেননি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডব শুরুর পাঁচদিন পর শুক্রবার এক জনসভায় এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সহিংসতার জন্য দায়ী করেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ঘিরে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র উসকানি ছড়ানোর পর গত রবিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয় নজিরবিহীন তাণ্ডব। হিন্দুত্ববাদীদের চালানো ওই তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৩৮ জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তবে এই সহিংসতার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করছে বিজেপি।
শুক্রবার উড়িষ্যায় এক জনসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘বিরোধীরা সিএএ নিয়ে ভুল ধারণা ছড়াচ্ছে, আর তা ব্যবহার করে দাঙ্গা চালানো হচ্ছে, মানুষকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে’। তিনি বলেন, ‘আমরা সিএএ প্রচলন করে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। আর কংগ্রেস, বিএসপি, এসপি, মমতা দিদির মতো সব বিরোধী দল বলছে এর মাধ্যমে দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে। আমরা বারবার বলেছি আর এখনও বলছি, সিএএ কোনও সংখ্যালঘুর নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না’। অমিত শাহ বলেন, ‘নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য সিএএ নয়, বরং নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য’।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। বিতর্কিত এই আইনে প্রতিবেশী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে আইনটিকে বৈষম্যমূলক অভিহিত করে ভারতজুড়ে এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। দিল্লিতে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গত রবিবার দিল্লি পুলিশকে আল্টিমেটাম দেন বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। আর এরপরই সেখানে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়।