ইরানকে সহায়তার অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরানের পেট্রোলিয়াম ও পেট্রোকেমিক্যাল বিক্রিতে সহায়তা করায় বৃহস্পতিবার ওইসব কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওয়াশিংটন। তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
আমিরাতের পেট্রো গ্রান্ড এফজেডই, অ্যালফাবেট ইন্টারন্যাশনাল ডিএমসিসি, সুইসল ট্রেড ডিএমসিসি, আলম আলথারভা জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি ও আলওয়ানেও এলএলসি কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভ মিউচিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘২০১৯ সালে ইরানের জাতীয় তেল কোম্পানি এনআইওসি’র কাছ থেকে হাজার হাজার টন পেট্রোলিয়াম ক্রয় করেছে এই পাঁচ কোম্পানি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘তেহরান তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল বিক্রির রাজস্ব সন্ত্রাসীদের অর্থায়নে ব্যবহার করে। একারণে ইরানকে যারা সমর্থন করবে তাদের বিচ্ছিন্ন করতে এবং লক্ষ্যবস্তু বানাতে সর্বদা তৎপরতা চালাবে মার্কিন প্রশাসন।’
ইরানের তেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন এবং হংকংয়ের নয়টি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করার একদিন পর এই পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন। সে সময় বলা হয়, ইরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ওই পদক্ষেপ নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরেনিয়াম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইরান। ২০১৮ সালের মে মাসে এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প। এতে ইরানের অর্থনীতি ও তেল রফতানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়।