ইরান সমর্থিত লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) নিজেদের ভূমিতে এই গোষ্ঠীটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া এদিন ভোরে হিজবুল্লাহ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চারটি আলাদা শহরের মসজিদে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ধারণা জার্মানিতে হিজবুল্লাহ’র উগ্রপন্থী পনেরোশো সদস্য রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র হিজবুল্লাহ নিষিদ্ধ করতে জার্মানির ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে।
শিয়া ইসলামপন্থী গ্রুপ হিজবুল্লাহ গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের অন্যতম সমর্থক। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদের পক্ষে দেশটির গৃহযুদ্ধে ভূমিকা রাখছে তারা। আগে থেকেই গোষ্ঠীটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে হিজবুল্লাহর রাজনৈতিক ও শসস্ত্র ইউনিটকে আলাদা ভাবে বিবেচনা করে আসছিলো জার্মানি।
বৃহস্পতিবার জার্মানির এক মুখপাত্র জানান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হর্স্ট শিহোফার হিজবুল্লাহকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টুইট বার্তায় ওই মুখপাত্র বলেন, ‘সংকটের মধ্যেও আইনের শাসন কার্যক্রম চালাতে সক্ষম।’ জার্মানির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ডর্টমুন্ড, মুয়েনস্টার, ব্রিমেন এবং বার্লিন শহরের চারটি মসজিদে অভিযান চালানো হয়েছে।
জার্মানির এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দিয়েছে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো। আমেরিকান ইহুদি কমিটির প্রধান ডেভিড হ্যারিস বলেছেন, জার্মানির এই তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত বহুল প্রতিক্ষিত। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন আশা করি অন্য ইউরোপীয় দেশগুলো জার্মানির সিদ্ধান্তকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং হিজবুল্লাহর সত্যিকার প্রকৃতি সম্পর্কে একই ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন হিজবুল্লাহর সামরিক শাখাকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বিবেচনা করলেও এর রাজনৈতিক শাখাকে তা বিবেচনা করে না।