কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আক্রমণ চালানোর উদ্দেশ্যে তৈরি এমন দেড় হাজার ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এপ্রিলে দেশটির ইতিহাসে ভয়াবহ বন্দুক হামলার পর শুক্রবার তিনি দীর্ঘদিনের এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলেন। এই ঘোষণার ফলে, দেড় হাজার ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি, পরিবহন, আমদানি বা ব্যবহার নিষিদ্ধ হলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, ঘোষণার পর থেকেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে আইন মেনে চলা আগ্নেয়াস্ত্র মালিকদের দুই বছরের সময় দেওয়া হবে।
ট্রুডো জানান, তিনি একটি বিল প্রস্তাব করেছেন যাতে করে নিষিদ্ধ আগ্নেয়াস্ত্র কেনার কর্মসূচি রয়েছে। প্রস্তাবটি এখনও পাস হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের মতো কানাডাতে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকানা সংবিধানে সন্নিবেশিত নয়। তবে দেশটির গ্রামীণ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র আছে বহু মানুষের। কানাডায় ৮০ হাজারের বেশি এমন আগ্নেয়াস্ত্র নিবন্ধিত আছে।
ট্রুডো বলেছেন, কানাডার আগ্নেয়াস্ত্র মালিকরা বেশিরভাগই আইন মেনে চলা নাগরিক। কিন্তু তিনি যুক্তি তুলে ধরে বলেন আক্রমণ চালানোর আগ্নেয়াস্ত্রের বিশেষ কোনও সুবিধা নেই।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব অস্ত্রের একটা উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়েছে, কম সময়ের মধ্যে বেশি সংখ্যক মানুষকে হত্যা করার জন্য। একটি হরিণ শিকারের জন্য আপনার এআর-১৫ প্রয়োজন নেই।
কানাডায় অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধের দাবি উঠছে ২০১৭ সাল থেকেই। ওই সময় কুইবেকের একটি মসজিদে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এরপর ২০১৮ সালে টরোন্টোর একটি বাণিজ্যিক সড়কে বন্দুক হামলা হয়। সর্বশেষ নোভা স্কশিয়াতে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২২ জন নিহত হন।