আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের এক সপ্তাহের মাথায় এ নিয়ে নতুন ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় অভিবাসন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, কেবলই অনলাইন-নির্ভর কোর্সে ভর্তির জন্য নতুন করে কোনও বিদেশি শিক্ষার্থীকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই করোনা পরিস্থিতিতে তাদের সামগ্রিক ক্লাস-কার্যক্রমকে অনলাইনভিত্তিক করার চিন্তাভাবনা করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন ঘোষণার কারণে সেসব কোর্সে ভর্তির সুযোগ পাবেন না নতুন কোনও বিদেশি শিক্ষার্থী।
গত ৬ জুলাই প্রেসিডেন্টর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের এক ঘোষণায় বলা হয়, আসন্ন শিক্ষাবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশি শিক্ষার্থীদের দেশটি ছেড়ে যেতে হবে। প্রশাসনের এই ঘোষণার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় ট্রাম্প প্রশাসন। আর এবার সেই সিদ্ধান্তেও বদল আনলো মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
কলেজ কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো এক মেমোতে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও কাস্টমস বাস্তবায়ন (আইসিই) বিভাগ জানিয়েছে, নতুন যেসব শিক্ষার্থী গত ৯ মার্চের মধ্যে ভর্তি হয়নি তারা পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর কোনও বিষয়ে পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের আইসিই কর্মকর্তাদের ঘোষণা অনুযায়ী কেবল সেইসব বিদেশি শিক্ষার্থীই পুরোপুরি অনলাইনভিত্তিক কোর্সে পড়তে পারবেন; যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন কিংবা বিদেশ থেকে সেখানে ফিরছেন এবং ইতোমধ্যে ভিসা পেয়েছেন।
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মার্কিন অর্থনীতিতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অবদান ছিল প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী হচ্ছে চীনের। এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। বিদেশি শিক্ষার্থী সংখ্যার শীর্ষ ২৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ। গত শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শিক্ষার্থী সংখ্যা পাঁচ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করছে সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি।