বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সমুদ্রে মহড়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ। শুক্রবার মার্কিন নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান ফ্লাইট অপারেশন ও উচ্চ প্রযুক্তির সামুদ্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মহড়া সম্পন্ন করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকার মধ্যেই বিতর্কিত সমুদ্রসীমানায় মহড়া চালালো মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ। করোনাভাইরাসের মহামারিতে চীনের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা অব্যাহত রেখেছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মহামারি ব্যবহার করে বেইজিং দক্ষিণ চীন সমুদ্রসহ বিভিন্ন স্থানে নিজেদের আঞ্চলিক দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ দিন ধরেই দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনের দাবির বিরোধিতা করে আসছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্র এলাকায় নিয়মিতভাবে যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়ে থাকে ওয়াশিংটন। শুক্রবারের মহড়া প্রসঙ্গে মার্কিন নৌবাহিনীর কমান্ডার জোসুয়া ফাগান বলেন, ‘যৌথ বাহিনীর কার্যকারিতা ও ধ্বংসক্ষমতা নিশ্চিত করতে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক উন্মুক্ত ও সচল রাখতে সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয়ের প্রয়োজন।’
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই মহড়ার বিরোধিতা করেছে চীন। বেইজিং বলছে, দক্ষিণ চীন সমুদ্রে চীনা দাবির বিরোধিতা করে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বাড়াচ্ছে আর স্থিতিশীলতাকে হেয় করছে।
দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দশভাগের মধ্যে নয়ভাগেরই দাবি করে থাকে চীন। এই অঞ্চল দিয়ে প্রতিবছর প্রায় তিনর লাখ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। তবে চীনের পাশাপাশি অঞ্চলটির কর্তৃত্ব দাবি করে থাকে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম।