X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

পদত্যাগ করবেন লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী

বিদেশ ডেস্ক
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২০:৪৬আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:৫২

আগামী অক্টোবরের শেষে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সিরাজ। দীর্ঘদিন ধরে চলা দেশটির সংঘাত নিরসনে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজতে নতুন একটি নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোর সঙ্গে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় আলোচনাকে নতুন প্রস্তুতিমূলক পর্যায়ে নিয়ে যেতে এবং দেশকে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। লিবিয়ার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সিরাজ

ফায়েজ আল সিরাজ যখন লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন তখন দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছিল বিদ্রোহী সামরিক নেতা খলিফা হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) হাতে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও রাশিয়ার সমর্থন নিয়ে ২০১৯ সালের এপ্রিলে ত্রিপোলি অভিমুখে অগ্রসর হতে শুরু করে এলএনএ। তবে জুন থেকে তুরস্কের সমর্থনে আল সিরাজের সরকারি বাহিনী তাদের পরাজিত করতে শুরু করে। বর্তমানে রাজধানীর উপকণ্ঠসহ পশ্চিমাঞ্চলীয় বেশিরভাগ শহর থেকেই হাফতার বাহিনী বিতাড়িত হয়েছে।

প্রচণ্ড আন্তর্জাতিক চাপের মুখে এ মাসের শুরুতে লিবিয়ায় সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলো বৈঠকে বসতে বাধ্য হয়। ওই বৈঠকে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে লিবিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রাথমিক একটি চুক্তিতে সম্মত হয় তারা।

বুধবারের সংক্ষিপ্ত টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সিরাজ বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে পরবর্তী প্রশাসনের কাছে অক্টোবরের শেষ নাগাদ দায়িত্ব হস্তান্তরের ইচ্ছা পোষণ করছি।’

উল্লেখ্য, জীবনযাপনের মানের দিকে থেকে তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার শীর্ষে ছিল। স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ছিল পুরোপুরি রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে যে রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ওই ঐশ্বর্য নিশ্চিত করেছিল, সেটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায় ২০১১ সালে যখন পশ্চিমা সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তারপর থেকে লিবিয়ায় চলছে সীমাহীন সংঘাত। গাদ্দাফি ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত হওয়ার পর ত্রিপোলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত একটি মনোনীত সরকার রয়েছে। ওই কর্তৃপক্ষকে জাতীয় ঐকমত্যের সরকার বা জিএনএ নামে অভিহিত করা হয়।

/জেজে/এমওএফ/
সম্পর্কিত
ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে অন্তত ৫ অভিবাসী নিহত
আটলান্টিক মহাসাগরে পাওয়া ৯ মরদেহের পরিচয় নিয়ে যা বললো ব্রাজিল
ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিহত ৯, উদ্ধার ২২
সর্বশেষ খবর
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না কয়েকটি এলাকায়
জাবির সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন: বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়
জাবির সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন: বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের নিরঙ্কুশ জয়
ঝুঁকি নিয়ে পজিশন বদলে সব আলো কেড়ে নিলেন রাফায়েল
ঝুঁকি নিয়ে পজিশন বদলে সব আলো কেড়ে নিলেন রাফায়েল
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
স্টয়নিস ঝড়ে পাত্তা পেলো না মোস্তাফিজরা
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক