X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভীতিকর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে’

বিদেশ ডেস্ক
৩০ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৩১আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২০, ২৩:৪৭

অস্ট্রেলিয়ার দাবানলের ঘটনার দীর্ঘ প্রতিক্ষিত একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই সঙ্গে অনেকগুলো এবং আরও খারাপ ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ভীতিকর ভবিষ্যতের জন্য দেশটিকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে। একটি রাজকীয় কমিশনের ওই প্রতিবেদনে সরকারের জন্য ৮০টি সুপারিশ রাখা হয়েছে। নানা বিষয়ের মধ্যে এসব সুপারিশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্যোগ, সরঞ্জাম এবং জলবায়ু সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে উন্নয়ন আনতে বিস্তারিত প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। দাবানলের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপুল এলাকার বাতাস দূষিত হয়ে পড়ে

দাবানল অস্ট্রেলিয়ার জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্থানীয়রা একে বুশফায়ার নামে ডাকে। সাধারণত গ্রীষ্মকালে তাপদাহের কারণে প্রতি বছরই সেখানকার জঙ্গলে দাবানল হয়। ২০১৯-২০ সালের দাবানল আগের সব রেকর্ড ও তীব্রতা ছাড়িয়ে গেছে। এবারের দাবানলে অন্তত ৩৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়াও অসংখ্য বণ্যপ্রাণী ও গাছপালা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দাবানলের কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয় একটি রাজকীয় কমিশন।

ওই কমিশনের প্রতিবেদনে সরকারের জন্য বেশ কিছু সুপারিশের পাশাপাশি বলা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই দাবানল ভয়াবহ পরিস্থিতি ধারণ করেছে। আর ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি আরও মারাত্মক হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকার বলছে, কমিশনের সুপারিশগুলো সতর্কতার সঙ্গে এবং পদ্ধতিগতভাবে পর্যালোচনা করা হবে।

২০১৯ সালের জুলাই থেকে শুরু করে এই বছরের মার্চ পর্যন্ত দাবানলে অস্ট্রেলিয়ার প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ ও প্রাণঘাতী এই দাবানলের মৌসুমে আক্রান্ত হয়েছে দেশটির সবগুলো রাজ্য। পুড়ে গেছে প্রায় তিন হাজার বাড়ি। শত শত কোটি প্রাণী বাস্তুচ্যুত হয়েছে কিংবা মারা গেছে।  এছাড়া সিডনি, ক্যানবেরা, এডিলেডসহ বিস্তীর্ণ এলাকায় দাবানলের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এক জরিপে দেখা গেছে, অন্তত ৪৪৫ জনের মৃত্যুতে ভূমিকা রেখেছে বাতাসের দূষণ।  একই কারণে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে আরও বহু মানুষকে।

ওই দাবানলের কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দুই দশকে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি কোনওভাবেই ঠেকানো সম্ভব নয়। সেকারণে দাবানল, বন্যা এবং ঝড়র মতো জটিল বিপর্যয় আরও সাধারণ ঘটনা হয়ে উঠবে আর একই সঙ্গে এগুলো ঘটতে থাকবে কিংবা একটার পর আরেকটা আসতে থাকবে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রভাব এবং তার পরিণতি মোকাবিলা এখন আর একটি বিপর্যয় মোকাবিলা করে টেকসই হবে না। সামগ্রিকভাবে এসব বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।  কর্তৃপক্ষীয় প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে এসব বিপর্যয় আংশিকভাবে নিরসন করা সম্ভব বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

/জেজে/বিএ/
সম্পর্কিত
অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে আটকা পড়েছে শতাধিক পাইলট তিমি
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ
অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক প্রবেশ নিষিদ্ধ করলো রাশিয়া
সর্বশেষ খবর
‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের’ এক সদস্য গ্রেফতার
‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের’ এক সদস্য গ্রেফতার
বিশ্বসাহিত্যের খবর
বিশ্বসাহিত্যের খবর
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
দেশজুড়ে এমপিরাজ শুরু হয়েছে: রিজভী
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
২৪ ঘণ্টা পর আবার কমলো সোনার দাম
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
ভুল সময়ে ‘ঠিক কাজটি’ করবেন না
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের
সিনিয়র শিক্ষককে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি জুনিয়র শিক্ষকের