X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

অপেক্ষার অবসান, হাতের নাগালে করোনার ভ্যাকসিন

বিদেশ ডেস্ক
২৬ নভেম্বর ২০২০, ২২:৪১আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ২৩:১৯
image

৯ নভেম্বর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৪টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে কার্যকর বলে ঘোষণা করেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, বেশিরভাগ ভ্যাকসিনই ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। যদিও অচেনা ওই করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে কেড়ে নিয়েছে ১৪ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি ব্যবহারের জন্য এসব ভ্যাকসিনকে সবুজ সংকেত দেবে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষগুলো। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, মহামারির ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাতের নাগালে আসছে করোনার ভ্যাকসিন। অপেক্ষার অবসান, হাতের নাগালে করোনার ভ্যাকসিন

কখন মিলবে একটি ভ্যাকসিন?

দৃশ্যত তেমন কোনও অগ্রগতি ছাড়াই কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পর, নভেম্বরে এসে সবকিছুই যেন গতি পায়। এই সময়ে বেশ কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি তাদের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে উৎসাহব্যঞ্জক প্রাথমিক ঘোষণা দেয়।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) ওষুধ অনুমোদন তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি (ইএমএ) জানিয়েছে, তারা প্রথম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিতে পারে এই বছরের শেষ নাগাদ কিংবা ২০২১ সালের শুরুতে। সেই ভিত্তিতেই বিতরণ পরিকল্পনা সাজিয়েছে ফ্রান্স, স্পেন এবং ইতালি।

আটলান্টিকের ওপারে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হতে পারে মধ্য ডিসেম্বরে। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ভ্যাকসিন চালুর জন্য দ্রুত সময়সীমার মধ্যে অনুমোদনের কাজ সেরে ফেলতে পারে।

চীনা কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে। আর রাশিয়া চূড়ান্ত ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা শুরুর আগেই ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে দুটি ভ্যাকসিন।

সাধারণত নতুন কোনও ভ্যাকসিনের গবেষণা, পরীক্ষা, অনুমোদন, উৎপাদন এবং বিতরণের জন্য এক দশক কিংবা তার চেয়েও বেশি সময় লাগে।

উন্নয়নের মারাত্মক গতির ফলে প্রায় অর্ধডজন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গবেষণায় অভূতপূর্ব গতি দেখা গেছে। সরকারি এবং বেসরকারি এসব গবেষণায় বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি শর্তসাপেক্ষে কোটি কোটি ডোজের অর্ডার দেওয়াও দেখা গেছে।

তবে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই বলছে, এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।

উদাহরণ হিসেবে, ইইউ’র নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্বীকার করে নিয়েছে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় দ্রুতি গতি আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের জোরালো দাবি, অন্য যেকোনও ওষুধের মতো এটির ক্ষেত্রেও মান, নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে একই ধরনের উচ্চমানের তদারকি নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে এই অসামান্য অর্জনের অর্থ এই নয় যে ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় থাকা দুনিয়া এখনই ভ্যাকসিন পেয়ে যাবে। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আডানোম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রাথমিক বিতরণ হবে সীমিত, যাতে স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তি এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী অগ্রাধিকার পাবে।’ তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সম্পদশালী দেশগুলোর কোটি কোটি ডোজ সরবরাহ করার আগ পর্যন্ত দরিদ্রতম দেশগুলো ভ্যাকসিন পাবে না- এমন অবস্থা হতে দেওয়া উচিত হবে না। তিনি বলেন, ‘যে গরজ দিয়ে ভ্যাকসিন উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে সেই একই গরজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সেগুলো ন্যায্যভাবে বিতরণ করতে হবে।’ দরিদ্র এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে পদদলিত হওয়ার মতো ফাঁদে না পড়ে।

কোন ভ্যাকসিনটি সবচেয়ে ভালো?

এটা বলার সময় এখনও আসেনি। ৯ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত চারটি ওষুধ প্রস্তুতকারক নিজেদের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সফলতার ঘোষণা দিয়েছে। যার বেশিরভাগই ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর।

তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফলাফল প্রথম ঘোষণা দেয় মার্কিন-জার্মান সহায়তায় উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান বায়োটেক প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক প্রথম ঘোষণা দেওয়ার পর তাদের অনুসরণ করে মার্কিন প্রতিষ্ঠান মডার্না, ব্রিটিশ সহযোগিতার অ্যাসট্রাজেনকো এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলোজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলোজি।

বিশ্বজুড়ে বিশাল বাজারের কথা বিবেচনায় নিয়ে ফলাফল প্রকাশের এই ত্বরিত গতির মানে হলো কোম্পানিগুলো নিজেরাই এই ঘোষণা দিয়েছে। এই ফলাফলগুলো এখনও রিভিউ জার্নালে প্রকাশ করা হয়নি। এটি সম্পন্ন হতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

সবগুলো ভ্যাকসিন সফলতার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে। ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাইয়ে এটিই চূড়ান্ত ধাপ। এই ধাপে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বয়সী এবং জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকের ওপর এটি পরীক্ষা করা হয়।

মূলত, ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ধারণ করা হয় করোনায় আক্রান্ত যে পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে সেই একই পরিমাণ আরেক দল স্বেচ্ছাসেবকের ওপর ছায়া ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর দুই গ্রুপের মধ্যে তুলনা করে।

অনুসন্ধান প্রকাশে তড়িঘড়ির কারণে কোভিড-১৯ আক্রান্ত স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা প্রতিটি ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই ছিল আলাদা: ফাইজার/বায়োএনটেক-এর ক্ষেত্রে ছিল ১৭০ জন, মডার্না ৯৫ জন, অ্যাস্ট্রাজেনকো/অক্সফোর্ড ১৩১ জন এবং গামালিয়া ইনস্টিটিউট মাত্র ৩৯ জন।

ফাইজার ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতার কথা জানিয়েছে। মডার্না জানিয়েছে ৯৪.৫ শতাংশ কার্যকারিতার কথা, অন্যদিকে গামালিয়ার স্পুটনিক ভি ৯১.৪ শতাংশ কার্যকারিতার দাবি করেছে।

অ্যাস্ট্রাজেনকোর দুই ডোজ ভ্যাকসিনের হিসাব আরও বেশি জটিল। দুটি আলাদা পরীক্ষায় সামান্য ভিন্ন ফলাফল পাওয়া গেলেও ওষুধটি ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কার্যকর। তবে যে গ্রুপের স্বেচ্ছাসেবকদের পূর্ণ ডোজের পরিবর্তে অর্ধেক ডোজ দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে এটি ৯০ শতাংশ কার্যকর। কোম্পানিটি বলছে, কম মাত্রায় প্রয়োগের ক্ষেত্রে ওষুধটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বেশি সক্রিয় করে বেশি সুরক্ষা দিয়েছে।

ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতিতে কোন ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করা হবে সেটি নির্ধারণে এর সাফল্যই একমাত্র বিবেচনা নয়। ব্যয় এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হয়।

উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অ্যাস্ট্রাজেনকার দুই ডোজ সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল। এর প্রতি ডোজের দাম পড়বে তিন ডলার।

এছাড়া পরিবহন এবং মজুদের কথা বিবেচনায় নিলে এটির বাড়তি সুবিধা রয়েছে। মডার্নার ভ্যাকসিনকে অবশ্যই মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রাখতে হবে, আর ফাইজারেরটিকে রাখতে হবে আরও শীতল জায়গায়- মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এই তাপমাত্রায় রাখা না গেলে এগুলো কার্যকারিতা হারাবে। অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনকার ভ্যাকসিন সাধারণ ফ্রিজের তাপমাত্রাতেই রাখা যাবে।

এখনও যে প্রশ্নের উত্তর নেই

বহু প্রশ্নই এখনও ওঠেনি, বহু জিজ্ঞাসার উত্তর খোঁজা হয়নি। সফলতারে দাবি করা ভ্যাকসিনগুলো নিয়ে সবচেয়ে যে বড় প্রশ্নটি সামনে আসছে তা হচ্ছে এগুলো কতদিন পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। যেসব ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তার সবগুলোই ভ্যাকসিন প্রয়োগের অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করে ফেলেছে।

কী কী জানার বাকি আছে সেগুলোর তালিকা করতে গিয়ে লন্ডনের কিংস কলেজের ফার্মাসিউটিক্যাল মেডিসিনের ভিজিটিং প্রফেসর পেনি ওয়ার্ড বলেন, ‘সুরক্ষা কত দিন থাকবে? সময় গড়ানোর সঙ্গে ভাইরাসটির যে বিবর্তন হচ্ছে তার থেকে কী সুরক্ষা দেবে ভ্যাকসিনটি?’

এছাড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে একবার সেরে ওঠার পর আবারও আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছু ঘটনাও সুরক্ষা কতদিন টিকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বিজ্ঞানীরা এখনও জানেন না এই ভ্যাকসিনগুলো উচ্চ-ঝুঁকির মানুষদের ওপর কেমন কার্যকর, বিশেষ করে বয়স্কদের ওপর।

আরও একটি ‘জানা অজানা’ বিষয় হলো, কার্যকর একটি ভ্যাকসিন কি কেবল রোগটির লক্ষণ ঠেকাবে নাকি একই সঙ্গে একজন থেকে আরেক জনে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতেও কার্যকর হবে। অন্যভাবে বলা যেতে পারে, ভ্যাকসিন নিয়ে আপনি কি কেবল নিজে সুস্থ থাকবেন নাকি অন্য যারা আপনার সংস্পর্শে এলে তাদের সংক্রমিত করা থেকে বিরত থাকবেন?

এসব প্রশ্নের উত্তর হয়তো পাওয়া যেতে পারে অ্যাস্টাজেনেকার কাছে। এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইলিয়ানর রিলে বলেন, ‘লক্ষণ ছাড়া সংক্রমণ খতিয়ে দেখতে অক্সফোর্ড/অ্যাস্টাজেনকা টিম প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সবার নাক এবং গলার তরল নমুনা সংগ্রহ করেছে।’ ওষুধ প্রস্তুতকারকটির অনুসন্ধান হলো, ভ্যাকসিনটি ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে পারে এমন আগাম নির্দেশনা পাওয়া গেছে।

পাইপলাইনে আছে কতগুলো?

মধ্য নভেম্বর পর্যন্ত মানুষের ওপর পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে এমন ৪৮টি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন শনাক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে এরমধ্যে মাত্র ১১টি চূড়ান্ত তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা পর্যায়ে রয়েছে।

এই মাসে ফলাফল ঘোষণা করা চারটির বাইরে রয়েছে চীনের বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন। দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ল্যাবরেটরির এসব ভ্যাকসিন তৈরি করেছে সিনোভ্যাক, সিনোফার্ম এবং কানসিনো।

এছাড়াও আরও ১৬৪টি ভ্যাকসিন প্রজেক্ট চিহ্নিত করেছে ডব্লিউএইচও। এগুলো প্রাক-ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

/জেজে/বিএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জানা গেলো বেইলি রোডে আগুনের ‘আসল কারণ’
জানা গেলো বেইলি রোডে আগুনের ‘আসল কারণ’
সাভারে ভাঙারির দোকানে আগুন, এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
সাভারে ভাঙারির দোকানে আগুন, এক ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
বার্সা চায় শিরোপার দৌড়ে ফিরতে, আরও কাছে যাওয়ার বাসনা রিয়ালের
এল ক্লাসিকোবার্সা চায় শিরোপার দৌড়ে ফিরতে, আরও কাছে যাওয়ার বাসনা রিয়ালের
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যুবলীগ নেতার ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে যুবলীগ নেতার ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
সর্বাধিক পঠিত
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
দুর্নীতির অভিযোগ: সাবেক আইজিপি বেনজীরের পাল্টা চ্যালেঞ্জ
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
সারা দেশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় ছুটি ঘোষণা
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
শিল্পী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি মিশা, সম্পাদক ডিপজল
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
সোনার দাম কমেছে, আজ থেকেই কার্যকর
দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, পারদ উঠতে পারে আরও
দেশের ৯ অঞ্চলে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি, পারদ উঠতে পারে আরও