যুক্তরাষ্ট্রে কোনও কিছু প্রচারে সাবেক প্রেসিডেন্টের চেয়ে উপযুক্ত আর কে হতে পারে? আর যদি তিন জন সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রচারে নামেন? ঠিক এমনটিই ঘটতে যাচ্ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন জনসচেতনতায় নিজেদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগাতে রাজি হয়েছেন। মার্কিন নাগরিকদের উৎসাহিত করতে ক্যামেরার সামনে করোনাভাইরাসের টিকা নেবেন এই তিন সাবেক প্রেসিডেন্ট, যাতে দেশটির নাগরিকরা টিকা গ্রহণে আগ্রহী হন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআর এ খবর জানিয়েছে।
ওবামা বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি মনে করেন টিকা নিরাপদ ও কার্যকর, তাহলে তিনি তা গ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার ইউটিউবে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে ওবামা বলেন, আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে, যখন কম ঝুঁকিতে মানুষের জন্য টিকা উন্মুক্ত করা হবে আমি তা গ্রহণ করবো। হয়তো তা টিভিতে বা ক্যামেরার সামনে গ্রহণ করবো। যাতে মানুষ বিশ্বাস করে যে, আমি বিজ্ঞানে আস্থা রাখি।
ওবামার এই মন্তব্যের পর বুশ ও ক্লিনটনের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, সাবেক এই দুই প্রেসিডেন্টও প্রকাশ্যে টিকা গ্রহণ করবেন।
বুশের চিফ অব স্টাফ ফ্রেডি ফর্ড জানিয়েছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. ফাউচি ও হোয়াইট হাউজের করোনা মোকাবিলার সমন্বয়ক ড. ডেবোরাহ বির্কসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন টিকার প্রচারের জন্য তার কোনও ভূমিকার সুযোগ আছে কিনা।
ক্লিনটনের প্রেস সেক্রেটারি অ্যাঞ্জেল উরেনাও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনিও টিভিতে প্রকাশ্যে টিকা গ্রহণে রাজি আছেন। একই সঙ্গে আমেরিকানরা যেন টিকা গ্রহণ করে সেই আহ্বানও জানাবেন।
সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট এমন সময় প্রকাশ্যে টিকা গ্রহণের কথা জানালেন যখন দেশটির শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি এই বছর শেষ হওয়ার আগেই তাদের উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের অনুমতি চাইছে। ফাইজার ও মডার্না রেকর্ড সময়ে টিকা উদ্ভাবন করায় জনমনে এর নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। গত আগস্টে ইপসোস-মোরির পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, এক-তৃতীয়াংশ আমেরিকান টিকা নিতে আগ্রহী নয়। যদিও উভয় কোম্পানিই দাবি করছে তাদের উদ্ভাবিত টিকা প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকর।