মস্কোয় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করেছে রাশিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে এবং কোনরকম তথ্য প্রকাশ না করেই গত আগস্ট মাসে স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের জন্য স্পুটনিক ভি নামের একটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয় রাশিয়া। এখন সেটির প্রয়োগও শুরু হতে যাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত রাশিয়ায় ২৩ লাখ ৮২ হাজার ১২জন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪১ হাজার ৭৩০ জনের। রাশিয়ায় এই মহামারির কেন্দ্র হয়ে উঠেছে মস্কো, যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, স্কুল, স্বাস্থ্য সেবা আর সমাজকর্মীদের আগে টিকাটি দেয়া হবে। যতো টিকা আসতে থাকবে, এই তালিকা তখন আরও বড় হতে শুরু করবে। এসব পেশার বাসিন্দারা অনলাইনে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে শহরের ৭০টি স্থানে টিকা দেয়ার জন্য বুকিং দিতে পারবেন।
টিকা প্রস্তুতকারীরা বলছেন, এটি ৯৫ শতাংশ কার্যকরী এবং বড় ধরণের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করে না। তবে এখনও টিকাটির গণ-পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়নি।
এই সপ্তাহেই টিকার প্রথম দুইটি ডোজ পাওয়ার জন্য নাম তালিকাভুক্ত করেছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে রাশিয়া মোট কতো টিকা তৈরি করতে পারবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বছরের শেষ নাগাদ টিকাটির উৎপাদকরা ২০ লাখ টিকা তৈরি করতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মস্কো থেকে বিবিসির সংবাদদাতা সারাহ রেইন্সফোর্ড বলছেন, রাশিয়ার সরকার লকডাউনের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বরং দ্রুত কার্যকর টিকা আবিষ্কারের ওপর জোর দিয়েছে।
এরইমধ্যে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। সেই ধারাবাহিকতায় বাহরাইনও টিকাটির অনুমোদন দেয়। ব্রিটেনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে,করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। তবে অনুমোদন দেয়া হলেও জনগণের মধ্যে এখনও টিকাটির আনুষ্ঠানিক প্রয়োগ শুরু হয়নি।