ফিনল্যান্ড আর সুইডেনের পর জার্মানিতেও কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি। নতুন নীতিমালার আওতায় আলজেরিয়া, মরক্কো এবং তিইনিসিয়াকে ‘নিরাপদ দেশের’ তালিকার অন্তভূক্ত করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এসব দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীদের জার্মানিতে ছাড়পত্র পাওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর সিগমার গ্যাব্রিয়েল নতুন এই নীতির ঘোষণা দেন।
নতুন নীতিমালা অনুযায়ী দুই বছরের মধ্যে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে আসার ক্ষেত্রে কিছু কিছু শরণার্থীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলেও জানান গ্যাব্রিয়েল। অর্থাৎ যেসব অভিবাসন প্রত্যাশীর আবেদন বাতিল হয়ে গেছে কিন্তু তাদের দেশে ফেরত পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ, সেসব ক্ষেত্রে ওই অভিবাসীকে জায়গা দেওয়া হলেও পরিবারকে আনার সুযোগ থাকবে না।
২০১৫ সালে গৃহযুদ্ধকবলিত সিরিয়া ছেড়ে আসা শরণার্থীরাসহ ১ কোটি ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার পর জার্মানির সরকারের তরফে নতুন নীতিমালার ঘোষণা দেওয়া হলো।
অভিবাসীদের জন্য জার্মানিতে উন্মুক্ত দরোজা নীতি ঘোষণার পর গত কয়েক মাস ধরেই রাজনৈতিকভাবে চাপের মুখে রয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল। বর্ষবরণে কোলন শহরে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় শরণার্থীদের সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ উঠলে সেই চাপ আরও বেড়ে যায়।
উল্লেখ্য, জার্মানির ঘোষণার আগে হাজার হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীকে বিতাড়িত করার ঘোষণা দেয় সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। বুধবার অন্তত ৮০ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর আবেদন বাতিল করা হতে পারে বলে ঘোষণা দেয় সুইডেন। আর বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ড সরকারের তরফে জানানো হয়, ৩২ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর মধ্যে দুই তৃতীয়াংশেরই আবেদন খারিজ হয়ে যাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক প্রধান ফিলিপিনো গ্র্যান্ডি বলেন, ইউরোপে রাজনৈতিক জটিলতা থাকলেও ধনী দেশগুলোর উচিত শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া। শরণার্থীদের বোঝা না ভেবে তাদেরকে দেশের অর্থনীতি গড়ার কাজে লাগানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দৃঢ় কণ্ঠে গ্র্যান্ডি বলেন, আইনস্টাইনও যে অভিবাসী ছিলেন তা আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি
/এফইউ/বিএ/