তাইওয়ানে শুক্রবারের (০৫ ফেব্রুয়ারি) শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে এখনও শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এদিকে, ভূমিকম্পে ধসে পড়া ১৭তল ভবনটি থেকে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এবার ভবনটি ধসে পড়ার কারণ অনুসন্ধান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। আর তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানায়, ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে প্রায় এক হাজার উদ্ধারকর্মীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর ৮৪০ সদস্য, ছয়টি হেলিকপ্টার ও ২৩টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিনগত রাত ১টা ৫৭ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় তিয়ানান শহরে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউজিং থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। প্রাথমিক ভূমিকম্পটির মাত্রা ৬.৭ বলে জানায় মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। পরে তা কমিয়ে ৬ দশমিক ৪ জানায় সংস্থাটি। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল ভূমিকম্পটি। এ ঘটনায় কোনো সুনামি সর্তকতা জারি করা হয়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তাইনান সিটির মেয়র উইলিয়াম লি জানিয়েছেন ধসে পড়া ওই ১৭ তলা ভবনের নিচে চাপা পড়েই নিহত হয়েছেন ৩৪ জন। ওই ভবনটি ছাড়া আরও তাইনানের বেশ কয়েকটি ভবন এ ভূকম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো থেকে এখন পর্যন্ত দুই জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাগুলো।
ওই ১৭ তলা ভবনের জীবিতরা জানিয়েছেন, যে ভবনটি ত্রুটিপূর্ণ ছিলো। রবিবার পর্যন্ত ৩১০জনকে উদ্ধার এবং এদের মধ্যে ১০০ জনকে হাসপাতালে ভর্তির তথ্য জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত ৫০০ জন আহত এবং ১২১ জন নিখোঁজ থাকার তথ্য জানিয়েছে তারা।
ইউএসজিএস বলেছে, বিশ লাখ অধিবাসীর শহর তাইনানে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি অগভীর ছিল। যার অর্থ, এর শক্তি বিবর্ধিত হয়েছে। তাইওয়ানজুড়ে ভূকম্পন পরবর্তী বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছে। এমনকি তাইনান থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরবর্তী রাজধানী তাইপেও কেঁপে উঠেছে। এরআগে ১৯৯৯ সালে দেশটিতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ মারা যায়। সূত্র: বিবিসি, ইউএস নিউজ
/বিএ/