X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

৮ কোটি ডলারের অর্ধেক জুয়ার আসরে, বাকিটা কোথায়?

বিদেশ ডেস্ক
১১ মার্চ ২০১৬, ১৫:৪৮আপডেট : ১১ মার্চ ২০১৬, ১৬:৪৯
image

৮ কোটি ডলারের অর্ধেক জুয়ার আসরে, বাকিটা কোথায়? যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের মাধ্যমে ফিলিপাইনের ব্যাংক থেকে পাচার হওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ১০ লাখ ডলার) সমপরিমাণ অর্থের মধ্যে ফিলিপাইনের স্থানীয় জুয়ার আসরে গেছে ৪৬ মিলিয়ন ডলার, যা  মোট চুরি যাওয়া অর্থের ৫৬ ভাগ । ধারণা করা হচ্ছে, বাকি অর্থ পুনরায় কোনও বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করে কোথাও পাচার করা হয়েছে। ফিলিপাইনের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এমিউজমেন্ট গেমিং কর্পোরেশনের বরাতে ফিলিপাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনকোয়ারার এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
হ্যাকারদের একটি গ্রুপ চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চুরি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোড ব্যবহার করেই এই অর্থ চুরি করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম এবং সুইফট কোড কন্ট্রোলে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে ৩০টি পেমেন্ট অ্যাডভাইজ পাঠায় ফিলিপাইনের স্থানীয় ব্যাংকে টাকা স্থানান্তরের জন্য। এর মধ্যে ৪টি অ্যাডভাইজ অনার করে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। যার মাধ্যমে মোট ৮১ মিলিয়ন ডলার (৮ কোটি ১০ লাখ ডলার) ফিলিপাইনে সফলভাবে পাচার করতে সক্ষম হয় হ্যাকাররা।
ফিলিপাইনে জুয়ার (ক্যাসিনো) প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থা এমিউজমেন্ট গেমিং কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার বরাতে শুক্রবার ইনকোয়ারারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৬ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে সোলেয়ার রিসর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোতে গেছে ২৬ মিলিয়ন। আর ২০ মিলিয়ন ডলার গেছে ইস্টার হাওয়াই ক্যাসিনো অ্যান্ড রিসর্টে। ফেব্রুয়ারির ৫ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে এই অর্থ ফিলিপাইনের ব্যাংকে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছে ইনকোয়ারার।
এমিউজমেন্ট গেমিং কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তার দাবি, ৮১ মিলিয়ন ডলারের বাকি ৩৫ মিলিয়ন ডলার ( ৪৬ শতাংশ) কোথায় গেছে, তা তাদের জানা নেই। তবে তিনি নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয় জুয়ার আসরে ওই টাকা ঢোকেনি। তিনি বলেন, ‘১ মার্চ ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি যাওয়ার পর দেশটির মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা সংশ্লিষ্ট একাউন্ট জব্দ করা হয়। এর আগেই ৪৬ মিলিয়ন ডলার জুয়ার আসরে চলে আসে।’ তিনি জানান, জুয়ার আসরে ২০ দিন ওই টাকা ব্যবহৃত হয়। তবে এনকোয়ারারে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ সচেতন হয়। বাকি অর্থ অন্য কোনও দেশে পাচার হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তিনি।  

এরআগে ইনকোয়ারারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গ্রাহকের হাতে চলে যাওয়া ৮৭ কোটি ডলার সমমানের সেই অর্থ একটি ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারের কাছে পাঠানো হয়েছিল এবং পরে তা সিটি অব ড্রিমস ও মিদাসের সোলেয়ার ক্যাসিনোতে স্থানান্তর করা হয়। পরে অর্থগুলোকে জুয়ার চিপস (বাজির কয়েন) হিসেবে রূপান্তরিত করে বাজি ধরার উপযোগী করা হয়। আর শেষ পর্যন্ত আবার সেগুলোকে নগদ অর্থে রূপান্তরিত করে হংকংয়ের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

জুয়ার আসরে ব্যয় হওয়া ৪৬ মিলিয়ন ডলারের বাইরের বাকী ৩৫ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে কোনও অর্থ জব্দ করা গেছে কিনা, কিংবা টাকাগুলো আদৌ হংকং কিংবা বাইরের অন্য কোনও দেশে পাচার হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে জানা জায়নি। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ এ টাকা ফেরত পাবে কিনা, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ফিলিপাইনের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

/বিএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে করারোপ: আইনের বিশ্লেষণ
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
ইউক্রেনের মার্কিন সামরিক সহায়তা আইনে স্বাক্ষর বাইডেনের
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
নামাজ শেষে মোনাজাতে বৃষ্টির জন্য মুসল্লিদের অঝোরে কান্না
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
আজকের আবহাওয়া: দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা
‘বয়কট’ করা তরমুজের কেজি ফের ৬০ থেকে ১২০ টাকা