‘পবিত্র ব্যক্তি’ (সেইন্টহুড) হিসেবে মাদার তেরেসাকে অনুমোদন দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। মঙ্গলবার তিনি মানবতার সেবায় আত্মমগ্ন ওই নারীকে প্রয়াণের ১৯ বছর পর ‘পবিত্র ব্যক্তি’র স্বীকৃতি দেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ৪ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, ক্যাথলিক বিশ্বাস অনুযায়ী কর্মসূত্রে কেউ ‘পবিত্র ব্যক্তি’র স্বীকৃতি পেতে পারেন না। ঐশ্বরিক ক্ষমতার বলেই এই স্বীকৃতি পাওয়া যায়। অলৌকিক ক্ষমতার প্রয়োগে কারও সাফল্যের অন্তত দু’টি ঘটনাকে পোপ স্বীকৃতি দিলে, মৃত্যুর পর তিনি ‘পবিত্র ব্যক্তি’র স্বীকৃতি পান।
মাদার তেরেসার ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২০০৩ সালে। রোমান ক্যাথলিকদের ভাষায় যাকে বলে ‘ক্যানোনাইজেশন’। ১৯৯৮ সালে এক উপজাতি মহিলাকে দুরারোগ্য রোগের হাত থেকে বাঁচিয়ে তোলায় ২০০৩-এ মাদারকে আলৌকিক ক্ষমতার প্রথম স্বীকৃতি দেন তৎকালীন পোপ দ্বিতীয় জন পল। একইভাবে ২০০৮ সালে দুরারোগ্য মস্তিষ্কের অসুখে আক্রান্ত মৃতপ্রায় এক ব্রাজিলিয়ানকে সারিয়ে তুলেছিলেন মাদার। ২০১৫ সালে এই ঘটনাটিকেও অলৌকিক বলে স্বীকৃতি দেন পোপ ফ্রান্সিস।