দোষ স্বীকার করে মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতায় আসায় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। সোমবার (২৪ জুন) যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন বলে নিশ্চিত করেছে উইকিলিকস। নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফেরার অনুমতিও পেয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্য ছেড়েছেন অ্যাসাঞ্জ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে উইকিলিকস জানায়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মুক্ত। যুক্তরাজ্যের বেলমার্শের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে ১৯০১ দিন কাটিয়ে ২৪ জুন সকালে মুক্ত হন তিনি। লন্ডনের হাইকোর্ট তাকে জামিন দেয়। বিকেলে স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখান থেকে একটি উড়োজাহাজে চড়ে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন অ্যাসাঞ্জ।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসের একটি আদালতে দায়ের হওয়া নথি অনুসারে, অ্যাসাঞ্জ জাতীয় প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের একটি অভিযোগে দোষ স্বীকার করতে রাজি হয়েছেন।
২০১০ ও ২০১১ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন সামরিক-কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাসাঞ্জ। এ ঘটনায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৮টি মামলার তদন্ত করছে মার্কিন বিচার বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, নথি ফাঁস করার মাধ্যমে অ্যাসাঞ্জ আইন লঙ্ঘন করেছেন যার ফলে মার্কিন নাগরিকদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। তবে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ বরাবরই বলে আসছেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করা ৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতিরক্ষাসংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার অ্যাসাঞ্জের যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের তত্ত্বাবধানে থাকা নর্দান মারিয়ানা আইল্যান্ডসে পৌঁছানোর কথা। তাঁর ৬২ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ব্রিটেনে যে পাঁচ বছর তিনি কারাভোগ করেছেন সেটিও এই সাজার অন্তর্ভুক্ত হবে। এর অর্থ হলো অ্যাসাঞ্জ নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারবেন।
২০১৯ সাল থেকে পাঁচ বছর ধরে লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে বন্দী ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। সেখান থেকেই আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।