X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

'ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন এসেছে'

আবিদ হাসান
১৭ মার্চ ২০২১, ০১:২০আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২১, ০১:৫১

স্বাধীনতার ৫০ বছরে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সামনের ৫০ বছরের প্রত্যাশা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন-এর সঙ্গে কথা বলেছেন সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।

বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

আল নাহিয়ান খান জয়: এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস যদি পর্যালোচনা করি, ছাত্র সংগঠনের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রায় ১৭ হাজার নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী ৫০ বছরে প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্ররাই নেতৃত্ব দিয়েছে। যখন কেউ অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করেছে তারা কিন্তু সফল হয়নি। সফল না হওয়ার পেছনে রয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলোর সক্রিয় ভূমিকা।

 বাংলা ট্রিবিউন : স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার হলো, সামনের পঞ্চাশে কী আশা করছেন?

আল নাহিয়ান খান জয়: স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাস যদি পর্যালোচনা করি, কিছু স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর জাতির পিতা দেশকে এগিয়ে নিতে নানামুখী রূপরেখা তৈরি করেছিলেন। যারা বাংলাদেশকে মেনে নিতে পারেনি, স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি, এমন কিছু কুলাঙ্গার তাকে সপরিবারে হত্যা করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাদের দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। আমাদের নেত্রী দেশে ফেরার পর গণমানুষের হাল ধরেন এবং স্বাধীনতাবিরোধীদের সফল হতে দেননি। তাঁর সরকার গঠনের মাধ্যমেই আবার স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির উত্থান হয়। মাঝের সময়টা ছিল ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন। নেত্রীর দূরদর্শী ভাবনায় আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। আশা করছি আগামী ৫০ বছরে উন্নয়নের জন্য সারা বিশ্বে আমরা 'বাংলাদেশ মডেল' হিসেবে পরিচিতি লাভ করবো।

বাংলা ট্রিবিউন : ক্যাম্পাসে রাজনীতির সংস্কৃতিতে কেমন পরিবর্তন দেখছেন?  

আল নাহিয়ান খান জয়: অবশ্যই ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন এসেছে। একটা সময় দেখেছি ক্যাম্পাসে  অস্ত্রের ঝনঝনানি, রগকাটা বাহিনীর পদাচারণা। এখন সে অবস্থা নেই। এখন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে। ছাত্রলীগসহ বাম সংগঠনগুলো আছে। কিন্তু নিষিদ্ধ শিবিরের অবস্থান নেই। তারা এখন নামসর্বস্ব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। 

বাংলা ট্রিবিউন : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ওপর রাজনৈতিক প্রভাব আছে কিনা, থাকলে কী প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন?

আল নাহিয়ান খান জয়: আমি মনে করি না শিক্ষার ওপর রাজনৈতিক কোনও প্রভাব আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার যে  নিয়মনীতি, তার ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করে না।

বাংলা ট্রিবিউন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষে পা দিলো। শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি কোন দিকে?

আল নাহিয়ান খান জয়: ঢাবির র‌্যাংকিংয়ে রাজনৈতিক প্রভাব থাকার কথা নয়। আমি মনে করি না, শুধু র‌্যাংকিং দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করা যায়। বাংলাদেশের দিকে যদি তাকাই, দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরে ঢাবি শিক্ষার্থীরা অবদান রাখছে। তাই আমি মনে করি না র‌্যাংকিংয়ের কারণে ঢাবি পিছিয়ে আছে। কিন্তু কিছু আন্তর্জাতিক নিয়ম থাকে। সেক্ষেত্রে আমার আশা, বিশ্ববিদ্যালয় যেন তার জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক দিয়ে এগিয়ে যেতে পারে।

বাংলা ট্রিবিউন : বর্তমান ছাত্র সংগঠনগুলোর কার্যক্রমকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? সহাবস্থান আছে কি?

আল নাহিয়ান খান জয়: শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। অছাত্রদের অবস্থানের কোনও সুযোগ নেই। সহাবস্থান কিন্তু বিরাজ করছে। মধুর ক্যান্টিন, টিএসসিতে সবাই অবস্থান করছে।

বাংলা ট্রিবিউন : হলগুলোতে ক্ষমতাসীনদের একক আধিপত্য রয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ, এ বিষয়ে কী বলবেন?

আল নাহিয়ান খান জয়: ধারণাটি মিথ্যা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী খুবই সচেতন। কেউ যদি বলে তাদের ওপর কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটা অবশ্যই মিথ্যা। কারণ তারা জানে কোনটি ভালো আর কোনটি খারাপ। ছাত্রলীগ একটি জনপ্রিয় ছাত্র সংগঠন। এই সংগঠনের কর্মী হওয়া অনেকেরই স্বপ্ন। এই স্বপ্ন তাদেরও আছে। এই সংগঠনের কর্মী হতে চাইলে আমরা তো আর কাউকে বাধা দিতে পারি না। ছাত্রলীগের জনপ্রিয়তার কারণেই হলগুলোতে ছাত্রলীগের অবস্থান ভালো।

 বাংলা ট্রিবিউন : আপনাদের সংগঠনে ভিন্নমত গ্রহণের প্রবণতা আছে?

আল নাহিয়ান খান জয়: কেউ যদি ভিন্ন মতামত দেয় এবং তা যৌক্তিক হয়, তবে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।  যদি ভিন্নমত গ্রহণের প্রবণতা না থাকে তবে তো স্বাভাবিক পরিবেশ থাকবে না।

 

 

/এফএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রাজশাহীতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো বিভাগীয় সর্বজনীন পেনশন মেলা
রুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
নাটোরে উপজেলা নির্বাচনরুবেলকে শোকজ দিলো উপজেলা আ’লীগ, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ পলকের
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
এমপি দোলনের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ, সাংবাদিক আহত
চরের জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন
চরের জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবলীগ কর্মী নিহত, একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া