X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১
ট্রাভেলগ

মাদিবার রোবেন দ্বীপ: দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে উঁকি

মহীন রীয়াদ
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৩১আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৪৭

রোবেন দ্বীপের আন্তরীক্ষ দৃশ্য প্রতিদিন পৃথিবীর অসংখ্য পর্যটক নৌযানে চড়ে রোবেন দ্বীপে ঘুরতে যান। তাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে নেলসন ম্যান্ডেলার বন্দিশালা। রোবেন দ্বীপ জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে পর্যটকদের বাসে নিয়ে ঘুরে দেখানো হয় পুরো দ্বীপাঞ্চল। এর মধ্যে থাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগারের সংরক্ষিত বিভিন্ন বন্দির দলিল-দস্তাবেজ ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো। সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামাসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি।

প্রাথমিকভাবে সামুদ্রিক জাতের পাখি, আফ্রিকান পেঙ্গুইন, সিল ও কচ্ছপসহ বিভিন্ন প্রাণী-জীবন অধ্যুষিত অঞ্চল ছিল দক্ষিণ আটলান্টিকের রোবেন দ্বীপ। আফ্রিকানরা এই জায়গাকে বলে ‘রোবেনিল্যান্ড’। দক্ষিণ আফ্রিকার পশ্চিম কেপ প্রদেশের ব্লুবার্গস্ট্যান্ড উপকূল থেকে ৬ দশমিক ৯ কিলোমিটার ও কেপটাউন পোতাশ্রয় থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিকের টেবিল উপসাগরে এই উপবৃত্তাকার দ্বীপের অবস্থান।

বুল্ডারস সাগরপাড়ে আফ্রিকান পেঙ্গুইন (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) রোবেন শব্দটি ওলন্দাজ ভাষাভাষি মানুষের কাছ থেকে এসেছে। এর অর্থ ‘সিল’। তা থেকেই দৃষ্টিনন্দন দ্বীপটির নাম হয়েছে ‘সিল দ্বীপ’। প্রাচীন ক্ষয়সাধনের ঘটনার ফলে দ্বীপটি সমতল ও সমুদ্রতল থেকে মাত্র কয়েক মিটার ওপরে বিদ্যমান। প্রাথমিকভাবে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হলেও পরবর্তী সময়ে ক্রীতদাসদের জন্য নির্ধারিত হয় এই দ্বীপ। যদিও এই জায়গা এখন আর কোনও বিনোদন রিসোর্ট নয়। ঔপনিবেশিক আমলে, সতেরো শতক থেকে প্রায় ৪০০ বছর ধরে কারাবাস, নির্বাসন ও বিচ্ছিন্নতার স্থান হিসেবে বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ বন্দিদের নির্বাসন ও বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের নির্বাসনের জন্য ব্যবহৃত এ দ্বীপ এখন নিষ্ক্রিয় কারাগার হিসেবেই পরিচিত।

রোবেন দ্বীপ থেকে টেবিল মাউন্টেনের দৃশ্য (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) প্রাচীনযুগে দ্বীপটি মূলত পর্বতের প্রান্ত হিসেবে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল। সবশেষ বরফ যুগের প্রায় ১২ হাজার বছর পূর্বে ক্রমবর্ধমান সমুদ্রস্তর উপকূল থেকে এই দ্বীপকে পৃথক করে। ১৫০০ শতকের প্রথমার্ধেও পৃথিবীবাসীর কাছে রোবেন দ্বীপ ছিল অজানা। ১৪৮৮ সালে টেবিল উপসাগরে জাহাজ নোঙরের সময় দ্বীপটির অস্তিত্ব খুঁজে পান পর্তুগিজ পর্যটক বাতোলোমিও ডায়াস।

রোবেন দ্বীপে নেলসন ম্যান্ডেলার বন্দিশালার প্রবেশপথ (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ওলন্দাজরা কেপ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করতে আসে। অল্প সময়ে এই দ্বীপকে কারাগার হিসেবে ব্যবহার করতে থাকে তারা। ১৯৯১ সাল পর্যন্ত এটি সক্রিয় ছিল। সেই সময়ে এর প্রথম বন্দি ছিল সম্ভবত স্ট্র্যান্ডলপার নেতা অতশুমাতো।

রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সমৃদ্ধ কারাগার (ছবি: লেখক) ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি বিভিন্ন জাতির আফ্রিকান নেতারা এই দ্বীপে নির্বাসিত হন। পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের ওলন্দাজ উপনিবেশ থেকে ঔপনিবেশিক সৈন্য ও বেসামরিকদের মতো মুসলিম নেতাদেরও সেখানে কারারুদ্ধ করা হয়। অনেককে মিথ্যা অপরাধে অভিযুক্ত করে ও অনেককে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধেই এ দ্বীপে কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।
কুষ্ঠরোগীদের সমাধিস্থল (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) দ্বীপের জলবায়ু স্বাস্থ্যকর মনে করা সত্ত্বেও সমাজ থেকে দূরে বন্দি রাখায় নিঃসঙ্গ বন্দিরা ভুগতে থাকেন মানসিক অসুস্থতা ও কুষ্ঠ রোগে। ১৯৩১ সালের শেষের দিকে দ্বীপে একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে কুষ্ঠ রোগীদের সীমাবদ্ধ করা হয়।

বি-সেকশন বন্দিশালা, সেখানে অন্তরীণ ছিলেন ম্যান্ডেলা। (ছবি: লেখক) রোবেন দ্বীপের সবচেয়ে মর্মান্তিক সময়ের শুরু বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে। তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শাসনের রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য সর্বাধিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারাগার হয়ে ওঠে এটি। ১৯৬২ সালের শুরুতে কৃষ্ণাঙ্গ, ভারতীয় ও মিশ্রজাতির বেশিরভাগ বন্দিকে সেখানে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অবিসংবাদিত নেতা (পরবর্তী সময়ে দেশটির রাষ্ট্রপতি) নেলসন ম্যান্ডেলা। রোবেন দ্বীপের কারাগারে কেটেছে তার জীবনের ১৮ বছর (১৯৬৪-১৯৮২)। কারাবাসের বিভিন্ন ঘটনা ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অ্যা লং ওয়াক টু ফ্রিডম’-এ লিখেছেন তিনি।
এই বিছানাহীন কক্ষে ১৮ বছর অন্তরীণ ছিলেন ম্যান্ডেলা (ছবি: লেখক) ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত দ্বীপে স্থানান্তরিত বন্দিদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ তরুণই ছিল ম্যান্ডেলার ভাবশিষ্য। ফলে দ্বীপটির আরেক আদর্শিক নাম হয়ে দাঁড়ায় ‘ম্যান্ডেলা বিশ্ববিদ্যালয়’। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী ও মুক্তিসংগ্রামের অনেক নেতাকেই বিভিন্ন সময় এই দ্বীপে অভ্যন্তরীণ করে রাখা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কগালেমা মোটলানথে ও জ্যাকব জুমা উল্লেখযোগ্য। তারা উভয়ে পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।

ম্যান্ডেলার বাগান (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার (২ দশমিক ১ মাইল) দৈর্ঘ্যের ও ১ দশমিক ৯ কিলোমিটার (১ দশমিক ২ মাইল) প্রস্থের প্রায় ৫ দশমিক ০৮ কিলোমিটার (১ দশমিক ৯৬ বর্গমাইল) এলাকার ক্ষুদ্র দ্বীপ দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

বর্তমানে বেশ কয়েকটি গুরুতর হুমকির মুখোমুখি রয়েছে রোবেন। প্রথম হুমকির সবচেয়ে সম্ভাব্য উৎস হলো খরগোশ। সম্প্রতি কেপটাউন ও পশ্চিম কেপ শহরের সরকার সাবধান করেছে, দ্বীপটিতে ২৫ হাজার খরগোশ বিচরণের কারণে একরকম অশান্তি চলছে। ক্ষুধার্ত প্রাণীরা দ্বীপটির গাছপালা জন্মানোর ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে। তাই ব্যাপকভাবে কিছু ঐতিহাসিক কাঠামোর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার নিরীক্ষক জেনারেল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটির জাতীয় ঐতিহ্যবাহী স্থান ও আফ্রিকার ইতিহাসের অনন্য এই দ্বীপ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন। ১৯৯৯ সালের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার রোবেন দ্বীপের বন্দিশালাকে দেশের অন্যতম জাতীয় জাদুঘর হিসেবে ঘোষণা দেয়। একই বছর ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় যুক্ত হয় দ্বীপটি।

সাবেক রাজনৈতিক বন্দি ভুসামজি ম্যাকংগো। গাইডের কাজ পরিচালনা করেন তিনি (ছবি: নাহিদ সুলতান) কীভাবে ঘুরবেন
দ্বীপে ভ্রমণের বিষয়টি মূলত রোবেন দ্বীপ জাদুঘর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তারাই সেই স্থানটির তত্ত্বাবধান করে থাকে। সেখানকার বর্তমান অনেক গাইড প্রাক্তন রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন। তারা তুলনামূলক কম সুখী পরিস্থিতির মধ্যেই এ কাজ করছেন। প্রকৃতপক্ষে তাদের উপস্থিতি রোবেন দ্বীপের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করে তোলে। প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের এই দ্বীপে সহজেই হেঁটে বেড়ানো যায়। তবে ভ্রমণের অংশ হিসেবে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ একাধিক ট্যুর বাস পরিচালনা করে।

রোবেন দ্বীপ বাতিঘর (ছবি: প্রসাদ পিল্লাই) রোবেন দ্বীপ বাতিঘর
বাতিঘরটি দ্বীপের সর্বোচ্চ উঁচু স্থান মিন্টু পাহাড়ে অবস্থিত। ১৬৫০-এর দশকে কেপটাউনের প্রথম ওলন্দাজ ঔপনিবেশিক প্রশাসক জেন ভ্যান রাইবেইক নৌবাহিনীর জাহাজের চূড়ান্ত সামুদ্রিক বিপদের কারণে দ্বীপের সর্বোচ্চ পর্বতমালায় আগুন জ্বালানোর নির্দেশ দিতেন। ১৮৬৫ সালে এই স্থানে বাতিঘরটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়। ১৮ মিটার (৫৯ ফুট) উচ্চতার এই নলাকার-চক্রাকার মিনারের মাথায় রয়েছে একটি লণ্ঠন। নিচে একটি সংযুক্ত লণ্ঠন-রক্ষাকারী ঘর। ১৯৩৮ সাল থেকে বাতিঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। বাতিঘরে ঘূর্ণন বাতির পরিবর্তে একটি ঝলকানি লণ্ঠন ব্যবহার করা হয়, যা প্রতি সাত সেকেন্ড অন্তর ৫ সেকেন্ড সময়ের জন্য জ্বলে ওঠে। ৪৬ হাজার ক্যান্ডেলার এই মরীচি সাদা আলো ২৪ নটিক্যাল মাইল (২৮ মাইল বা ৪৪ কিমি) পর্যন্ত দৃশ্যমান, যা দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বগামী জাহাজগুলোর নেভিগেশন সহায়ক হিসেবে দ্বিতীয় লাল আলোর কাজ করে।

চুন পাথরের খনি (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) আরও যা যা ঘুরবেন
রোবেন দ্বীপ জাদুঘর পরিচালিত ভ্রমণের অংশ হিসেবে রোবেন দ্বীপের কবরস্থান, রবার্ট সোবকুয়ের বাড়ি, চুন ও নীলপাথরের খনি, সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর বাংকার আর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমৃদ্ধ কারাগারের নেলসন ম্যান্ডেলার কক্ষ অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও আছে কয়েকটি পর্যটন গন্তব্য।

মতুরো ক্রামোত সমাধি (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) মতুরো ক্রামোত সমাধি: দ্বীপে মুসলিম তীর্থযাত্রার এক ধর্মীয়-স্থান মতুরো ক্রামোত। কেপটাউনের প্রথম ইমাম মাদুরার যুবরাজ সাঈদ আব্দুরহমান মতুরো স্মরণে নির্মিত হয় এটি। স্থাপনাটি মূলত আব্দুরহমান মতুরোর সমাধি।

গুড শেফার্ড গির্জা (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) গুড শেফার্ড গির্জা: স্যার হার্বার্ট বেকার কর্তৃক পুরুষ কুষ্ঠরোগীদের জন্য নির্মিত পরিকল্পিত একটি গির্জা ‘গুড শেফার্ড’। এটি দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাঙ্গলিয় গির্জার মালিকানাধীন ও রোবেন দ্বীপের একমাত্র ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ভবন।

গ্যারিসন গির্জা (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) গ্যারিসন গির্জা: দক্ষিণ আফ্রিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই আন্তঃদেশীয় (পূর্ব অ্যাঙ্গলিয়) গির্জায় প্রতি বছর ভালোবাসা দিবসে গণবিবাহের আয়োজন করা হয়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উপকূলীয় প্রতিরক্ষা হুইজার (ক্ষুদ্র কামানবিশেষ)। ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী কখন যাবেন
পর্যটকদের জন্য দ্বীপটি সারাবছর উন্মুক্ত রাখা হয়। যদিও শীতকালে আবহাওয়ার কারণে ফেরি চলাচল প্রায়ই শিথিল রাখা হয় ও সন্ধ্যার আগেই বন্ধ হয়ে যায়।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত সুরক্ষা পিলবক্স (ছবি: লেখক) টিকিট
সীমিত সুবিধা ও সংরক্ষণ প্রচেষ্টার কারণে দ্বীপে দৈনিক ভ্রমণকারীর সংখ্যা ১৮০০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। দ্বীপে বেড়ানোর নির্ধারিত সময়ের দুই সপ্তাহ আগে থেকে অগ্রিম টিকিট ছাড়া হয়। প্রচুর সংখ্যক লোক সেখানে নিয়মিত ঘুরতে যায় বলে আগাম টিকিট নেওয়া সুবিধাজনক। যাতায়াত ও ভ্রমণের জন্য সব মিলিয়ে আনুমানিক চার-পাঁচ ঘণ্টা ব্যয় করলেই স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে আসা যায় রোবেন দ্বীপ।

রোবেন দ্বীপের স্কুল (ছবি: নুরুন্নবী চৌধুরী) কীভাবে যাবেন

কেপটাউনের ভিক্টোরিয়া ও আলফ্রেড ওয়াটারফ্রন্টের ম্যান্ডেলা গেটওয়ে থেকে পুরো সপ্তাহজুড়ে সকাল ৯টা, সকাল ১১টা ও দুপুর ১টায় একাধিক ফেরি দ্বীপের দিকে যাত্রা করে। স্বাভাবিক আবহাওয়ায় দ্বীপে পৌছাতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে। রোবেন দ্বীপ জাদুঘর ওয়েবসাইটের (http://www.robben-island.org.za/) মাধ্যমে অনলাইনে এই টিকিট বুক করা যায়। টিকিটের মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩৬০ র‌্যান্ড (বাংলাদেশি টাকায় ২১০০-২৩০০) ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১৮০ র‌্যান্ড (বাংলাদেশি টাকায় ১১০০-১৩০০)। প্রতিদিন অনেকে হেলিকপ্টারে চড়েও রোবেন দ্বীপে ঘুরতে যান। এতে জনপ্রতি খরচ হতে পারে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
কান উৎসব ২০২৪১৬ বছর ধরে পুনরুদ্ধার করা ‘নেপোলিয়ন’ দেখাবে কান
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই-এম ইন্ডিয়া জোট নয়, বিজেপির এজেন্ট: মমতা
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
‘আমাদের জন্য যারা বেইমান, ভারতের তারা বন্ধু’
টানেলে অপারেশনাল কাজে গেলে টোল দিতে হবে না জরুরি যানবাহনকে
টানেলে অপারেশনাল কাজে গেলে টোল দিতে হবে না জরুরি যানবাহনকে
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী